WBB GUIDE NOTES

Grab Your Seat… Ensure Your Job…. For Details Contact

WBB GUIDE NOTES

Grab Your Seat… Ensure Your Job…. For Details Contact

WBB GUIDE NOTES

Online learning is rapidly becoming one of the most cost-effective ways to educate the world's rapidly expanding workforce.

WBB GUIDE NOTES

Education is the movement from darkness to light.

WBB GUIDE NOTES

Online learning can be a lifeline to those who have obstacles, such as geographical distances or physical disabilities.

WBB GUIDE NOTES

Learning together even when we are apart.

WBB GUIDE NOTES

ONLINE EDUCATION IS LIKE A RISING TIDE, IT'S GOING TO LIFT ALL BOATS.

Whatsaap

07 July 2022

টীকা লেখো ইজারাদারি ব্যবস্থা ও 'উইলিয়াম কেরি ও ব্যাপটিস্ট মিশন'

ইজারাদারি ব্যবস্থা  'উইলিয়াম কেরি ও ব্যাপটিস্ট মিশন'



 ● টীকা লেখো : ইজারাদারি ব্যবস্থা।

উত্তরঃ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য জমি ইজারা দেওয়ার যে বন্দোবস্ত ব্যবস্থা চালু করেছিল তাকেই বলা হত 'ইজারাদারি ব্যবস্থা'। ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলায় ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত নিয়ে নানা পরীক্ষা করতে শুরু করেছিল। প্রথমে জমির নিলামে সবচেয়ে বেশি ডাক দেওয়া ব্যক্তিকে জমি দেওয়া হত। পরে প্রতি বছর বা এক বছর করে একজন ব্যক্তির সঙ্গে কোম্পানি ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত করে। ১৭৭২ খ্রিস্টাবদের জুন মাসে ওয়ারেন হেস্ট্রিংস নদীয়া জেলায় একটি নতুন ভূমি-রাজস্ব বন্দোবস্ত চালু করেন। সেই বন্দোবস্ত অনুযায়ী যে ব্যক্তি জমির নিলামে সবথেকে বেশি খাজনা দেওয়ার ডাক দেবে তার সঙ্গে কোম্পানি ওই জমির বন্দোবস্ত করবে। পাঁচ বছরের জন্য ওই জমি ওই ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হত বলে ওই বন্দোবস্তকে ইজারাদারি বন্দোবস্ত বলা হত । তবে অনেক ইজারাদারই গ্রাম সমাজের বাইরের লোক হওয়ায় ঠিকমতো রাজস্ব নির্ণয় করতে না পারার কারণে এবং দেয় রাজস্ব শোধ করতে না পারার জন্য পরে ইজারা বন্দোবস্ত তুলে দেওয়া হয়।

● টীকা লেখো : 'উইলিয়াম কেরি ও ব্যাপটিস্ট মিশন'।

উত্তরঃ শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে পড়াতেন। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের পাশাপাশি শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন স্থাপন করা হয়েছিল। শ্রীরামপুরের মিশনারিরা ব্রিটিশ কোম্পানির তরফে শিক্ষা বিস্তারের বিভিন্ন উদ্যোগে সামিল হন। নিজের মুদ্রণ যন্ত্র বসিয়ে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন লেখা ছাপতে শুরু করেন। শ্রীরামপুরের মিশনারিদের মধ্যে উইলিয়ম কেরিই ভারতীয় মহাকাব্যগুলি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। বাইবেলের একটি অংশকেও তিনি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে হালেদের লেখা বাংলা ব্যাকরণ বিষয়ক বিটিকেও সম্পাদনা করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেছিলেন।





অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া। স্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া। স্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।


প্রশ্নঃ ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া। স্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

উত্তরঃ ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির স্বার্থরক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চার বিষয় আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমেই ওয়ারেন হেস্টিংসের নাম উল্লেখ করতে হয়। তিনি এ বিষয়ে এক বিশেষ ধরনের শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

ফারসি ও অন্যান্য ভাষা জানা ভারতীয়দের তিনি রাজস্ব দপ্তরের কাজে নিয়োগ করেছিলেন। কোম্পানির কর্মচারীদের সুবিধার জন্য হিন্দু ও মুসলিম আইনগুলিকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন হেস্ট্রিংস । অন্যদিকে কোম্পানির বিভিন্ন নিয়মনীতিগুলোকেও বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল। ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে আরবি ও ফারসি ভাষাচর্চার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে জোনাথন ডানকান হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উভয়েরই মূল উদ্দেশ্য ছিল ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিত ব্যক্তিরা উপনিবেশিক শাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে সুগঠিত করার কাজে সহায়তা করবেন। ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উইলিয়ম জোনস। তাঁর উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য ছিল সংস্কৃত ভাষায় লেখা প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যগুলি আধুনিক ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করা। তাঁর মতে এই চর্চার ফলে ভারতের শিক্ষিত মানুষদের সঙ্গে ব্রিটিশদের বোঝাপড়া অনেক সুষম হবে এবং ঔপনিবেশিক পবশাসন আরও সুগম হয়ে উঠবে। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্থাপন করা হয়। ওই মিশনের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছিলেন উইলিয়ম কেরি । তিনি ভারতীয় মহাকাব্যগুলি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। তা ছাড়া বাইবেলের একটি অংশ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করেন।

১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে আলেকজান্ডার ডাফ কলকাতায় অনেকগুলি মিশনারি স্কুল তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন যার মধ্যে বিখ্যাত ছিল জেনারেল অ্যাসেম্বলি ইনস্টিটিউশন।

১৮২১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয় যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সংস্কৃত সাহিত্যের চর্চার পাশাপাশি পাশ্চাত্য জ্ঞানের বিকাশ ঘটানো।

১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ইংরেজি ভাষা নির্ভর পাশ্চাত্য শিক্ষার দ্রুত বিস্তার ঘটতে থাকে। ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে একটি প্রতিবেদনে সরাসরি বলা হয় যে, ইংরেজি শিক্ষার বিস্তারে প্রশাসন বেশি জোর দেবে। ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে সরকারি চাকুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষাজ্ঞানকে আবশ্যক বলে ঘোষণা করা হয়। ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা- নীতির পিছনে লর্ড মেকলের শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেদনে মেকলে বলেন ভারতে ইংরেজি-শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী তৈরি করাই ঔপনিবেশিক প্রশাসনের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। উডের প্রতিবেদনও সরকারকে প্রাথমিক থেকে বিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত একটি সুগঠিত শিক্ষা কাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়- শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ও ভারতীয় দু-ধরনের ভাষা চর্চার কথা বলা হয়েছে।

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে একথাই প্রতিপন্ন হয় যে ঔপনিবেশিক প্রশাসনের তরফে গৃহীত শিক্ষাবিস্তার নীতির মূল উদ্দেশ্যই ছিল সমাজে কিছু সংখ্যক মানুষকে শিক্ষিত করে তোলা, বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করে ঔপনিবেশিক প্রশাসনিক কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত করে নেওয়া।





অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

03 July 2022

ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে ১৭৭৩ খ্রিস্টানদের রেগুলেটিং আইনের ভূমিকা কী ছিল? টীকা লেখো : 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন'।

ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে ১৭৭৩ খ্রিস্টানদের রেগুলেটিং আইনের ভূমিকা কী ছিল? টীকা লেখো : 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন'।

What was the purpose of the centralization of the Indian administration and what was the role of the regulating law of 183 Christians in controlling the activities of the company in India? 'Pitt's Government of India Act'.

wbb_guide_notes


প্রশ্নঃ ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে ১৭৭৩ খ্রিস্টানদের রেগুলেটিং আইনের ভূমিকা কী ছিল?

উত্তরঃ ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রেকরণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং আইন পাস করে। ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া কাজকারবারের ওপর সরাসরি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণ বলবৎ করাই এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল ।

রেগুলেটিং আইন অনুসারে মাদ্রাজ, বোম্বাই এবং বাংলা প্রেসিডেন্সির তিনটির স্বতন্ত্র কার্যকলাপের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়। গভর্নর জেনারেল বলে একটি নতুন পথ তৈরি করা হয়। ঠিক হয় বাংলার গভর্নরই হবেন গভর্নর জেনারেল। তাঁর অধীনেই মাদ্রাজ ও বোম্বায়ের বাণিজ্যিক ঘাঁটিগুলির গভর্নরের থাকবেন । গভর্নর জেনারেলের পদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। চারজন সদস্য নিয়ে তৈরি হবে একটি গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিল। বস্তুত, এই আইনের ফলে কলকাতা ভারতের ব্রিটিশ শাসনের রাজধানীতে পরিণত হয়।

প্রশ্নঃ টীকা লেখো : 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন'।

উত্তরঃ পিট ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির কার্যকলাপের ওপর ব্রিটেনের পার্লামেনন্টের নজরদারি নিশ্চিত করার জন্য একটি আইন পাস করেন যাকে 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন' বলা হয় । ১৭৮৫ খ্রিস্টানদের ১ জানুয়ারি ওই আইন বলবৎ হয়।

পিট প্রণীত আইন মোতাবেক একটি বোর্ড অফ কন্ট্রোল তৈরি করা হয়। সেই বোর্ডকে কোম্পানির সামরিক ও অসামরিক শাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থা পরিচালনার পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই আইনে স্পষ্ট বলা হয় যে ভারতে কোম্পানির সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাই গভর্নর জেনারেলের কর্তৃত্ব মেনে চলতে বাধ্য থাকবে ৷






অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।