WBB GUIDE NOTES

Grab Your Seat… Ensure Your Job…. For Details Contact

WBB GUIDE NOTES

Grab Your Seat… Ensure Your Job…. For Details Contact

WBB GUIDE NOTES

Online learning is rapidly becoming one of the most cost-effective ways to educate the world's rapidly expanding workforce.

WBB GUIDE NOTES

Education is the movement from darkness to light.

WBB GUIDE NOTES

Online learning can be a lifeline to those who have obstacles, such as geographical distances or physical disabilities.

WBB GUIDE NOTES

Learning together even when we are apart.

WBB GUIDE NOTES

ONLINE EDUCATION IS LIKE A RISING TIDE, IT'S GOING TO LIFT ALL BOATS.

Whatsaap

07 June 2022

Class 8 history chapter 2 long questions and answers in bengali

Class 8 history chapter 2 long questions and answers


প্রশ্নঃ অষ্টাদশ শতকে ভারতে প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থানের পিছনে মুঘল সম্রাটদের ব্যক্তিগত অযোগ্যতাই কেবল দায়ী ছিল? তোমার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তরঃ অষ্টাদশ শতকে ভারতে প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থানের পিছনে মুঘল সম্রাটদের ব্যক্তিগত অযোগ্যতা অনেকাংশে দায়ী ছিলই, তা ছাড়াও অন্যান্য নানাবিধি কারণ ছিল।

সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর খুব দ্রুত মুঘল সাম্রাজ্যের শক্তি নষ্ট হতে থাকে এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থানও ঘটতে থাকে । তাঁর শাসনকালের শেষের দিকে মুঘল সাম্রাজ্যের কাঠামোগত দুর্বলতাগুলোও স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল । ঔরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারীরা সেই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারেনি উপরন্তু অযোগ্যতার ফলে সেই দুর্বলতাগুলো আরোও বেশি মাথাচাড়া দিয়েছিল।

সামরিক ব্যবস্থার দুর্বলতা ও অবনতির কারণেও আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থান হয়েছিল বলে মনে করা হয় কারণ অষ্টাদশ শতকের মুঘল সম্রাটরা সামরিক সংস্কারের দিকে দৃষ্টি দেননি। ফলে সাম্রাজ্যের ভিতরে এবং বাইরের আক্রমণ ও আঞ্চলিক শক্তির উত্থানের মোকাবিলা করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি । শিবাজি ও মারাঠাদের আক্রমণ, নাদির শাহের নেতৃত্বে পারসিক আক্রমণ, মোহম্মদ শাহ আবদালির নেতৃত্বে আফগান আক্রমণ,জায়গিরদারি ও মনসবদারি ব্যবস্থার সঙ্কট, ভূমি রাজস্বের হিসাবে গরমিলের কারণে সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থা, দরবারে অভিজাতদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, ব্যক্তিগত লাভক্ষতির প্রতি বেশি মনযোগ, কৃষক বিদ্রোহ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময় বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়ে। শাসনক্ষমতা ও কাঠামোর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থান ঘটতে থাকে। 

প্রশ্নঃ পলাশির যুদ্ধ ও বক্সারের যুদ্ধের মধ্যে কোনটি ব্রিটিশ কোম্পানির ভারতে ক্ষমতা বিস্তারের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল? তোমার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তরঃ পলাশির যুদ্ধ এবং বক্সারের যুদ্ধের মধ্যে ব্রিটিশ কোম্পানির ভারতে ক্ষমতা বিস্তারের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বক্সারের যুদ্ধ।

১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজ উদ-দৌলার বিশাল সেনাবাহিনী ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ইংরেজদের সামান্য সংখ্যক সেনাবাহিনীর কাছে পরাজিত হয়। ফলে বাংলায় ইংরেজদের প্রভুত্ব স্থাপনের সুবিধা হয়।

পরবর্তী সময়ে ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে মির কাশিম অযোধ্যার নবাব সুজা উদদৌলা ও দিল্লীর মুঘল সম্রাট শাহ আলমকে সাথে নিয়ে এক বিশাল সেনাবাহিনী গঠন করে বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। ভারতের ক্ষমতা বিস্তারের ক্ষেত্রে বক্সারের যুদ্ধ বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ পলাশির যুদ্ধে শুধুমাত্র বাংলার নবাবের পরাজয় ঘটেছিল কিন্তু বক্সারের যুদ্ধে অযোধ্যার নবাব ও দিল্লীর মুঘল সম্রাট এবং বাংলার নবাবের পরাজয় ঘটেছিল। বাংলায় রাজনৈতিক প্রভুত্ব স্থাপনের প্রশ্নে নবাব ও ইংরেজ কোম্পানির বিবাদের অবলুপ্তি ঘটেছিল ৷ ইংরেজদের সামরিক শক্তির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়েছিল । এলাহাবাদের চুক্তি অনুসারে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কোম্পানি ৫০ লক্ষ টাকা লাভ করেন এবং বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মুঘল সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন যা পরবর্তীকালে বাংলা, বিহার, উরিষ্যা তথা সারা ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্ষমতা বিস্তারের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল।

উপরিউক্ত আলোচনায় এটাই প্রতিপন্ন হয় যে ভারতে ক্ষমতা বিস্তারের ক্ষেত্রে পলাশি যুদ্ধের থেকে বক্সারের যুদ্ধই ছিল অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্নঃ মির কাশিমের সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানির বিরোধের ক্ষেত্রে কোম্পানির বণিকদের ব্যক্তিগত ব্যবসার কী ভূমিকা ছিল? বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থার প্রভাব কী হয়েছিল?

উত্তরঃ মির কাশিমের সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানির বিরোধের ক্ষেত্রে কোম্পানির বণিকদের ব্যক্তিগত ব্যবসার বিশেষ ভূমিকা ছিল। 

প্রথমত, কোম্পানির বণিকরা ব্যক্তিগতভাবে বেআইনি ব্যবসা করত ফলে বাংলার অর্থনীতি বিশেষ সমস্যার মুখে পড়েছিল । 

দ্বিতীয়ত, কোম্পানির বণিকরা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার জন্য নবাবের প্রাপ্য রাজস্বের ঘাটতি পড়েছিল।

তৃতীয়ত, দেশীয় ব্যবসায়ীদের নবাবকে শুল্ক দিয়ে ব্যবসা করতে হত ৷ ফলে দেশীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে নবাবের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছিল ।

চতুর্থত, পরবর্তী ক্ষেত্রে নবাব দেশীয় বণিকদের ওপর থেকে বাণিজ্য শুল্ক তুলে নেন ফলে নবাবের কোশাগার অর্থসংকটের মুখে পড়ে।

পঞ্চমত, মির কাশিম দেশি-বিদেশি সমস্ত বণিকদের দেয় শুল্ক তুলে দেন যার পরিণতি হল মির কাশিমের সঙ্গে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সরাসরি বিরোধ। বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থার প্রভাব বাংলার জনগণের কাছে একেবারেই শুভ ছিল না কারণ এই ব্যবস্থায় বাংলার অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার ছিল ব্রিটিশ কোম্পানির হাতে । কোম্পানিও বেশি করে রাজস্ব আদায়ের দিকে বেশি মনোযোগ হয়ে উঠেছিল, কুশাসন ও অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। সাধারণ মানুষের দুঃখ দূর্দশা বেড়ে গিয়েছিল। ফলস্বরুপ বাংলায় দেখা দিয়েছিল ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ যা ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত।

প্রশ্নঃ ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি থেকে স্বত্ববিলোপ নীতিতে বিবর্তনকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবে?

উত্তরঃ ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি ও স্বত্ববিলপ নীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।

লর্ড ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি ও লর্ড ডালহৌসির স্বত্ববিলপ নীতি ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।

অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি অনুসারে ভারতীয় রাজারা কোম্পানির সঙ্গে মিত্রতা সূত্রে আবদ্ধ হলে বহিঃশত্রুর আক্রমণ ও অভ্যন্তরীণ গোলযোগ থেকে তাঁর রাজ্যকে রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানি গ্রহণ করবে - এই উদ্দেশ্যে প্রত্যেক মিত্র রাজ্যকে নিজ খরচে একদল ব্রিটিশ সৌন্য রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেক মিত্র রাজ্য অন্য কোনো বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিত্রতা করতে পারবে না বা কোনো ইউরোপীয়কে চাকুরী দিতে পারবে না। নিজ রাজ্যের বাইরের কোনো রাজ্যের সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখতে পারবে না। এই নীতির প্রয়োগে হায়দরাবাদের নিজাম, অযোধ্যার নবাব, তাঞ্জোর ও সুরাটের শাসক, বরোদার গায়কোয়াড এবং পেশোয়ার দ্বিতীয় বাজিরাও প্রমুখ মিত্রতা সূত্রে আবদ্ধ হন। সিন্ধিয়া, ভোঁসলে, হোলকর যুদ্ধ করতে গিয়ে পরাজিত হন ও মিত্রতা নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য হন। রাজপুর, জয়পুর, যোধপুর পরপর চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয় । মহিশূরের টিপু সুলতান এই নীতি গ্রহণে অস্বীকার করলে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হন। এইভাবে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির প্রয়োগে ব্রিটিশ কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের পথ প্রশস্ত হয় । স্বত্ববিলোপ নীতি অনুসারে কোম্পানির আশ্রিত বা সাহায্যপুষ্ট কোনো ভারতীয় রাজা নিঃসন্তান হলে তিনি কোনো দত্তক পুত্র বা পোষ্যপুত্র গ্রহণ করতে পারবেন না। নিঃসন্তান অবস্থায় কোনো রাজার মৃত্যু হলে তাঁর রাজ্য সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই নীতি প্রয়োগ করে লর্ড ডালহৌসি সাতারা, নাগপুর, উদয়পুর, সম্বলপুর, ঝাঁসি, কর্ণাটক, তাঞ্জোর প্রভৃতি রাজ্যগুলিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। ছলে-বলে-কৌশলে প্রথমে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি ও তার পরবর্তীকালে স্বত্ববিলোপ নীতির প্রয়োগ ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারকে ত্বরান্বিত করেছিল। 

প্রশ্নঃ মুর্শিদকুলি খান ও আলিবর্দি খান-এর সময়ে বাংলার সঙ্গে মুঘল শাসনের সম্পর্কের চরিত্র কেমন ছিল?

উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খান ও আলিবর্দি খান-এর সময়ে বাংলার সঙ্গে মুঘল শাসনের সম্পর্কের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলতে হয় মুর্শিদকুলি খানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকলেও আলিবর্দি খানের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। বাংলার দেওয়ান হিসেবে দিল্লির মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবই মুর্শিদকুলি খানকে পাঠান । পরে বাহাদুর শাহের আমলেও মুর্শিদকুলি খান ওই পদেই বহাল ছিলেন। সম্রাট ফাররুখশিয়ারের আমলে মুর্শিদকুলি খান-এর নিয়োগ পাকাপাকি হয়। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলার নিজাম পদও দেওয়া হয় মুর্শিদকুলি খানকেই। দিল্লির মুঘল শাসনের সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্যই পরবর্তীকালে মুর্শিদকুলি খান বাংলার দেওয়ান ও নিজামের যৌথ দায়িত্ব পান । এককথায় বলা যায় মুর্শিদকুলি খানের নেতৃত্বেই আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বাংলার উত্থান ঘটে। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর সময়ও মুঘল সম্রাটদের সঙ্গে তাঁর খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর পর সেনাপতি আলিবর্দি খান বাংলার ক্ষমতা দখল করার পর সুবা বাংলার অধিকার মুঘলদের হাতে চলে যায় ৷ এই সময় মুঘল সম্রাটকে স্বীকার করা হত ঠিকই কিন্তু শাসনতান্ত্রিক কোনো খবরাখবর মুঘল সম্রাটকে জানানো হত না, নিয়মিত রাজস্ব পাঠানোও হত না । আলিবর্দি খান বাংলা-বিহার-উরিষ্যায় স্বশাসিত পৰশাসন চালাতেন।

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট হয় যে, মুর্শিদকুলি খানের সঙ্গে মুঘল শাসনের সম্পর্ক ভালো থাকলেও আলিবর্দি খানের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। যার পরিণতিতে বাংলায় নানা সংঘাত অরাজকতার মধ্যে ব্রিটিশ কোম্পানি আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়।


অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।


06 June 2022

Class 8 history chapter 2 short questions and answers in bengali

 Class 8 history chapter 2 short questions and answers

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায়



১। 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

উত্তরঃ

               'ক' স্তম্ভ

         'খ' স্তম্ভ

অযোধ্যা

সাদাৎ খান

১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দ

বক্সারের যুদ্ধ

স্বত্ববিলোপ নীতি

লর্ড ডালহৌসি

লাহোরের চুক্তি

প্ৰথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ

টিপু সুলতান

মহিশূর

 

২ । ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :

(ক) ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মুর্শিদকুলি খান ছিলেন বাংলার - (দেওয়ান/ফৌজদার/নবাব)।
উত্তরঃ দেওয়ান ।
(খ) আহমদ শাহ আবদালি ছিলেন - (মারাঠা/আফগান/পারসিক)।
উত্তরঃ আফগান ।
(গ) আলিনগরের সন্ধি হয়েছিল - (মিরজাফর ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে/সিরাজ ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে/মিরকাসিম ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে)।
উত্তরঃ সিরাজ ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে)।
(ঘ) ব্রিটিশ কোম্পানিকে বাংলা-বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানির অধিকার দেন - (সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম/সম্রাট ফাররুখশিয়র/সম্রাট ঔরঙ্গজেব)।
উত্তরঃ সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ।
(ঙ) স্বেচ্ছায় অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি মেনে নিয়েছিলেন - (টিপু সুলতান/সাতাৎ খান/নিজাম) ।
উত্তরঃ নিজাম।
 

৩ । অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০ টি শব্দ) :

(ক) ফাররুখশিয়রের ফরমানের গুরুত্ব কী ছিল?
উত্তরঃ ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অনুকূলে এক ফরমান(আদেশ) জারি করেন যা 'ফাররুখশিয়রের ফরমান' নামে পরিচিত। এই ফরমান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ফরমান মোতাবেক কোম্পানি বাংলাদেশে যে সমস্ত বিশেষ বাণিজ্যিক অধিকার ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়েছিল তাতে বাংলায় তাদের অবাধ বাণিজ্যের পথ খুলে যায় । ফলে বাংলার নবাবের সঙ্গে কোম্পানির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের পটভূমি তৈরি হয় ।
(খ) কে, কীভাবে এবং কবে হায়দ্রাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ মুঘল দরবারের শক্তিশালী অভিজাত মির কামারউদ্দিন খান সিদ্দিকি হায়দ্রাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
হায়দ্রাবাদের মুঘল প্রাদেশিক শাসক ছিলেন মুবারিজ খান। ১৭২৩ খ্রিস্টাব্দে কামারউদ্দিন খান সিদ্দিকী মুবারিজ খানকে হারিয়ে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।
(গ) 'পলাশির লুণ্ঠন' কাকে বলে?
উত্তরঃ পলাশির যুদ্ধে জয়লাভের পর রবার্ট ক্লাইভ মিরজাফরকে বাংলার সিংহাসনে বসিয়ে তাকে সাহায্যের পরিবর্তে বাংলার প্রচুর সম্পদ ও নবাবের সমস্ত ক্ষমতা হস্তগত করতে থাকেন। মিরজাফরকে প্রচুর অর্থ ও উপচৌকন দিতে বাধ্য করেন। কোম্পানির কর্মচারীরাও মিরজাফরের কাছ থেকে, বাংলার জমিদার ও অবস্থাপন্ন লোকেদের থেকে প্রচুর টাকা আদায় করতে থাকেন। ফলস্বরূপ বাংলার রাজকোশ শূন্য হয়ে যায়। পলাশির যুদ্ধের পর বাংলা থেকে এই লজ্জাজনক শোষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনাকেই বলা হয় 'পলাশির লুণ্ঠন'।
(ঘ) দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ দিল্লির বাদশাহ শাহ আলমের ফরমান অনুযায়ী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার দেওয়ানীর অধিকার পায় ৷ ফলে এক নতুন ধরনের রাজনৈতিক শাসনতন্ত্র কায়েম হয় । অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীন রাজনৈতিক দায়িত্ব, যাবতীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকে নবাব নজম-উদ-দৌলার ওপর। অন্যদিকে দায়িত্বহীন অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার থাকে ব্রিটিশ কোম্পানির হাতে। বাংলার শাসনব্যবস্থায় এই দুইজন শাসকের শাসনব্যবস্থাকে বলা হয় 'দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা'।
 (ঙ) ব্রিটিশ রেসিডেন্টদের কাজ কী ছিল?
উত্তরঃ ব্রিটিশ কোম্পানি ভারতে বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন রাজদরবারে তাদের যে প্রতিনিধি রাখতেন তারাই 'রেসিডেন্ট' নামে পরিচিত ছিল। সেই সমস্ত রেসিডেন্টদের কাজ ছিল 

প্রথমত, কোম্পানির পরোক্ষ শাসন ব্যবস্থায় সাহায্য করা।

দ্বিতীয়ত, কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থররক্ষা কাজে সাহায্য করা।

তৃতীয়ত, কোম্পানির নজর এড়িয়ে ভারতীয় রাজশক্তিগুলি কোম্পানি-বিরোধী কোনো কাজ করছে কিনা সেই বিষয়ে নজরদারি করা।

চতুর্থত, ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ নির চূড়ান্ত ক্ষমতার রূপ দেওয়ার কাজে সাহায্য করা।

৪ ৷ দু-এক কথায় উত্তর দাও :

(১) ঔরঙ্গজেব সুবা বাংলায় রাজস্ব আদায় করার জন্য কাকে বাংলার দেওয়ান হিসেবে পাঠিয়েছিলেন?

উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খানকে ।

(২) কত খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলিকে বাংলার নিজামপদ দেওয়া হয়?

উত্তরঃ ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে ।

(৩) কার নেতৃত্বে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বাংলার উত্থান ঘটেছিল?

উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খানের নেতৃত্বে। 

(৪) জাহাঙ্গীরনগর বলতে কোন স্থানকে বোঝানো হয়?

উত্তরঃ ঢাকা।

(৫) পলাশির যুদ্ধের পর কে বাংলার নবাব নির্বাচিত হন?

উত্তরঃ মিরজাফর।

(৬) কাটরা মসজিদ কোথায়?

উত্তরঃ মুর্শিদাবাদে।

(৭) কাটরা মসজিদ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খান।

(৮) বাংলায় কত খ্রিস্টাব্দে বর্গিহানা হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৭৪২-১৭৫১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ।

(৯) কে হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ মির কামারউদ্দিন খান সিদ্দিকি । 

(১০) বক্সারের যুদ্ধ কত খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে।

(১১) কত খ্রিস্টাব্দে ফাররুখশিয়র ফরমান জারি করেছিলেন? 

উত্তরঃ ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে।

(১২) কে আলিনগরের নামকরণ করেন? 

উত্তরঃ সিরাজ উদ-দৌলা ।

(১৩) 'অন্ধকূপ হত্যা' কোথায় হয়েছিল? 

উত্তরঃ কলকাতায় ।

(১৪) মিরজাফরের পর কে বাংলার নবাব হন? 

উত্তরঃ মির কাশিম ।

(১৫) বক্সারের যুদ্ধের পর কে কোম্পানিকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানির অধিকার দিতে বাধ্য হন?

উত্তরঃ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ।

(১৬) স্বত্ববিলোপ নীতির প্রবক্তা বা রূপকার কে ছিলেন? 

উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি ।

(১৭) অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কে প্রবর্তন করেন? 

উত্তরঃ লর্ড ওয়েলেসলি

(১৮) ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কত খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল? 

উত্তরঃ ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে।

(১৯) কলকাতায় বর্গিহানা আটকাবার জন্য যে খাল খোঁড়া হয়েছিল তাকে কী বলা হত?

উত্তরঃ মারাঠা খাল ।

 । ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :

(১) ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উত্থান হয়- (পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে/ বক্সারের যুদ্ধের মাধ্যমে/ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের মাধ্যমে)।

উত্তরঃ পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে।

(২) পারসিক ও আফগান আক্রমণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল- (কলকাতা শহর/ বোম্বাই শহর/ দিল্লি শহর) ।

উত্তরঃ দিল্লি শহর ।

(৩) দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম কোম্পানিকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি দেন (১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে/১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে/১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে)

উত্তরঃ ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে।

(৪) ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই নিজামের শাসনে স্বাধীন (বাংলা/বিহার/হায়দ্রাবাদ) রাজ্য আত্মপ্রকাশ করে ।

উত্তরঃ হায়দ্রাবাদ।

(৫) সাদৎ খানের নেতৃত্বে একটি স্বশাসিত আঞ্চলিক শক্তি হল- (দিল্লি/অযোধ্যা/উড়িষ্যা)।

উত্তরঃ অযোধ্যা ।

(৬) বাংলায় বর্গিহানা হয়েছিল- ( মুর্শিদকুলির সময়/আলিবর্দির সময়/সিরাজ উদ-দৌলার সময়)।

উত্তরঃ আলিবর্দির সময় ৷

(৭) কোম্পানি ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষার্থে বিভিন্ন রাজ্য দরবারে নিজেদের যে প্রতিনিধি রাখত তাকে বলা হত- (প্রেসিডেন্ট/ রেসিডেন্ট/ গভর্নর)।

উত্তরঃ রেসিডেন্ট ।

(৮) ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে টিপু সুলতানের মৃত্যু হয়- (দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে/ তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে/ চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে)।

উত্তরঃ চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে।

(৯) দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধে জেতার ফলে পাঞ্জাবও কোম্পানির অধিকারে চলে যায় । (প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ/ দ্বিতীয় ইঙ্গ শিখ যুদ্ধ)।

(১০) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশের ষাট ভাগেরও বেশি অঞ্চল কোম্পানির অধিকারে এসেছিল যার নেতৃত্বে তিনি হলেন- (লর্ড কর্নওয়ালিস/লর্ড ওয়েলেসলি/ লর্ড ডালহৌসি) ।

উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি।

 । ভুল অথবা ঠিক নির্বাচন করো :

(১) সিরাজ উদ-দৌলার পর বাংলার সিংহাসনে আরোহন করেন মির কাশিম ।

উত্তরঃ মিথ্যা

(২) ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধের পর থেকে ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক শাসন শুরু হয়।

উত্তরঃ মিথ্যা।

(৩) পলাশির যুদ্ধে ইংরেজদের সেনাপতি ছিলেন লর্ড ক্লাইভ।

উত্তরঃ সত্য।

(৪) বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন মিরজাফর।

উত্তরঃ মিথ্যা।

(৫) ১৭৫৭ থেকে ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার প্রধান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

উত্তরঃ সত্য।

(৬) মহীশুরের টিপু সুলতান প্রথম অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি মেনে নিয়েছিলেন ।

উত্তরঃ মিথ্যা। 

(৭) লাহোরের চুক্তি (১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দ) অনুযায়ী জলন্ধর দোয়াবে ব্রিটিশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়। 

উত্তরঃ সত্য।


অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।




05 June 2022

Class 8 history chapter 1 short question answer class 8th history chapter 1 question answer

Class 8 history chapter 1 short answer type questions


(ক) ইতিহাস লেখার সময় ঐতিহাসিককে কোন কোন বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়?

উত্তরঃ ইতিহাস লেখার সময় ঐতিহাসিকরা বিভিন্ন উপাদানগুলিকে সংগ্রহ করে ইতিহাস রচনা করেন। তবে ইতিহাস রচনার সময় ঐতিহাসিককে অবশ্যই সঠিক তথ্য নির্বাচন করতে হবে। আবার স্থান ও কালকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ সময় আর জায়গা আলাদা হয়ে গেলে অনেক ক্ষেত্রে কথার মানে বদলে যায়।

(খ) সাধারণভাবে 'যুগ' বলতে কী বোঝায়? ইতিহাসকে কয়টি যুগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

উত্তরঃ সাধারণভাবে 'যুগ' বলতে একটা বড়ো সময়কে বোঝায় । প্রতিটি যুগের মানুষ ও তার জীবনযাপনের নানারকম বৈশিষ্ট্য থাকে। সেই বৈশিষ্ট্যগুলি রাতারাতি পালটে যায় না। তাই সবসময় যুগ বদলের ধারাকে সময়ের হিসাব কষে ধরে ফেলা যায় না। ইতিহাসকে সাধারণভাবে তিনটি যুগে ভাগ করা যায় । এই তিনটি যুগ হল - (র) প্রাচীন যুগ, (রর) মধ্য যুগ, (ররর) আধুনিক যুগ।

(গ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে জেমস মিলের 'History of British India' বইটি লেখার উদ্দেশ্য কী ছিল?

উত্তরঃ ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে জেমস মিলের 'History of British India' বইটি লেখার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের অতীত কথাকে এক জায়গায় জড়ো করা। যার ফলে সেটা পড়ে ব্রিটিশ পৰশাসনের সঙ্গে যুক্ত বিদেশিরা ভারতবর্ষ সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা করতে পারে। কারণ, যে দেশ ও দেশের মানুষকে শাসন করতে হবে, সেই দেশের ইতিহাসটাও জানা দরকার।

(ঘ) ইতিহাস লেখার সময় ঐতিহাসিককে ইতিহাসের সমস্ত উপাদানকেই খুঁটিয়ে ভেঙেচুরে দেখতে হয় - উইলিয়ম ওয়েডারবর্নের লেখার নিরিখে এই উক্তির বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ ইতিহাস লেখার সময় ঐতিহাসিককে ইতিহাসের প্রত্যেক উপাদানকে খুঁটিয়ে ভেঙেচুরে দেখতে হয় তার কারণ - তা না হলে কখনো বা আংশিক এবং কখনো বা পুরো ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছে যেতে ঐতিহাসিক ৷ উইলিয়ম ওয়েডার- বার্ন তাঁর লেখায় অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউমের জীবনীতে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব হিউমকেই দিয়েছেন। অথচ পরে দেখা গেছে যতটা কৃতিত্ব হিউমকে দেওয়া হয়, আদৌ ততটা কৃতিত্বের দাবিদার হিউম নন। ঐতিহাসিক যদি শুধু ওয়েডারবর্নের কথাই মেনে নিতেন, তাহলে এই নতুন বিশ্লেষণ পাওয়া যেত না।

(ঙ) সাম্রাজ্যবাদ কাকে বলে?

উত্তরঃ সাম্রাজ্যবাদ হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি শক্তিমান দেশ বা রাষ্ট্র আর একটি দুর্বল দেশ বা রাষ্ট্রের ওপর প্রভুত্ব কায়েম করে তাকে নিজের দখলে আনে। দুর্বল দেশ বা রাষ্ট্রটির জনগন, সম্পদ সবকিছুকেই শক্তিমান দেশ অথবা রাষ্ট্রটি নিজের প্রয়োজনমতো পরিচালনা করে।


অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।




ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে আত্মজীবনীমূলক উপাদানের ব্যবহার কত সমস্যাকর ব্যাখ্যা করো। ইতিহাস রচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্রের মতামত কী ছিল?

ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে আত্মজীবনীমূলক উপাদানের ব্যবহার কত সমস্যাকর ব্যাখ্যা করো। ইতিহাস রচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্রের মতামত কী ছিল?



প্রশ্নঃ ইতিহাসকে দেখা বা বিশ্লেষণ করাটা নির্ভর করে দেখা ও বোঝার ভঙ্গির ওপরে - বিবৃতিটির সপক্ষে তোমার যুক্তি দাও।

উত্তরঃ ইতিহাসকে দেখা বা বিশ্লেষণ করাটা নির্ভর করে দেখা ও বোঝার ভঙ্গির ওপর একথা যথার্থই সত্য। বিবৃতির সত্যতার যুক্তি হিসেবে ইতিহাসের অন্যতম উপাদান হিসেবে আত্মজীবনীর কথা উল্লেখ করা যায় ।

কারও আত্মজীবনী থেকে তাঁর সময়ের ইতিহাসের উপাদান খুঁজে পেতে হলে শুধু আত্মজীবনী ব্যবহার করলেই হবে না - কারণ যিনি আত্মজীবনী লিখেছেন, তিনি তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও বিচারধারা থেকেই সব কিছু ব্যাখ্যা করেছেন। ঐতিহাসিক যদি সেই ব্যাখ্যা বিচার না করেই সমস্তটা মেনে নেন তাহলে তা একপেশে বা পুরো ভুল সিদ্ধান্তেও পৌঁছে যেতে পারেন। যেমন- উইলিয়াম ওয়েডারবার্ন তাঁর লেখা অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউমের জীবনীতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব হিউমকেই দিয়েছেন ৷ অথচ পরে দেখা গেছে যতটা কৃতিত্ব হিউমকেই দেওয়া হয়, আদৌ ততটা কৃতিত্বের দাবিদার হিউম নন। ঐতিহাসিক যদি শুধু ওয়েডারবর্নের কথাই মেনে নিতেন, তাহলে এই নতুন বিশ্লেষণ পাওয়া যেত না। সুতরাং বোঝা যায়, একজন ঐতিহাসিককে সমস্ত উপাদান যাচাই করে খুঁটিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করে দেখতে হয়।

প্রশ্নঃ ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে আত্মজীবনীমূলক উপাদানের ব্যবহার কত সমস্যাকর ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ আধুনিককালে ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম অপরিহার্য উপাদান হল আত্মজীবনীমূলক রচনা। আত্মজীবনীগুলি থেকেই ওই ব্যক্তির/সম্রাট/শাসকের শাসনকাল, সমাজব্যবস্থা নানা দিক সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ পাওয়া যায় । এতদ সত্ত্বেও বলা যায় আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ইতিহাস রচনায় বেশ কিছু সমস্যা তৈরি করে। যেমন-

১। দৃষ্টিভঙ্গিগত সমস্যা: যিনি আত্মজীবনী লিখেছেন তিনি তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষিতে সবকিছু বিচার করেন বলে, সবসময়ে তা সমাজ ও সমসাময়িক কালের ইতিহাসের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারে না। 

২। সময়ের অভাব: যিনি আত্মজীবনী রচনা করেন অনেক সময় তার সময়ের অভাব বা অন্যান্য সমস্যা হেতু সমস্ত বিষয়ে সঠিক মূল্যায়ন হয় না, যা যথার্থ ইতিহাস রচনায় একটা অন্তরায় স্বরূপ।

৩ । ভুল নথি সংগ্রহ: আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থগুলিতে অনেক সময় ভুল নথির নজির লক্ষ্য করা যায় । যেমন- উইলিয়াম ওয়েডারবার্ন তাঁর লেখা অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউমের জীবনীতে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব হিউমকেই দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে গবেষণায় প্রমাণিত হিউম সমস্ত কৃতিত্বের একক দাবিদার নন। 

প্রশ্নঃ ইতিহাস রচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্রের মতামত কী ছিল?

উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র ভারতীয় ইতিহাসে যে সমস্ত বিষয়গুলি প্রাধান্য পেয়েছিল তা নিয়ে বিশেষ সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাঁর মত ছিল বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের বাঙালির ইতিহাস জানতে হবে। এমনকি তাঁর মতে এই ইতিহাস বাঙালিরাই রচনা করবে।

এই প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি ছিল যে, বিদেশিদের লেখা বাঙালির ইতিহাস ভুলে ভরা । তাই তিনি বাঙালির যথার্থ ইতিহাস পাওয়ার জন্য আমাদের মতো সাধারনকে উদ্যোগী হতে বলেছেন ৷ এ প্রসঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা, দেবী চৌধুরানী প্রভৃতি ইতিহাসমূলক উপন্যাসগুলির কথা বলা যায় ৷ বঙ্কিমচন্দ্রের বক্তব্য ছিল ইতিহাসের বিষয়বস্তুতে বিদেশিদের হানাহানি-খুনোখুনির পরিবর্তে সাধারণ ভারতীয়দের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতির বিবরণ থাকলে তা অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে।


অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।




আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানের মধ্যে সাম্রাজ্যের স্বার্থ, উপনিবেশ বিস্তারের আগ্রহ বা জাতীয়তাবাদের আদর্শের সংস্পর্শ থাকতে পারে - ব্যাখ্যা করো।

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানের মধ্যে সাম্রাজ্যের স্বার্থ, উপনিবেশ বিস্তারের আগ্রহ বা জাতীয়তাবাদের আদর্শের সংস্পর্শ থাকতে পারে - ব্যাখ্যা করো

बता दें कि आधुनिक भारत के इतिहास के तत्व साम्राज्य के हितों, उपनिवेशवाद में रुचि या राष्ट्रवाद की विचारधारा से संबंधित हो सकते हैं।



প্রশ্নঃ আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানের মধ্যে সাম্রাজ্যের স্বার্থ, উপনিবেশ বিস্তারের আগ্রহ বা জাতীয়তাবাদের আদর্শের সংস্পর্শ থাকতে পারে - ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানের মধ্যে সাম্রাজ্য স্বার্থ, উপনিবেশ বিস্তারের আগ্রহ বা জাতীয়তাবাদের আদর্শের সংস্পর্শ থাকতে পারে একথা যে অমান্য করা অযৌক্তিক নয় তা নিম্নলিখিত ব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রকাশিত করা হল ।

একটি শক্তিমান দেশ অথবা রাষ্ট্র আর একটি তুলনায় দুর্বল দেশ বা রাষ্ট্রের ওপর প্রভুত্ব বিস্তার করে তাকে নিজের দখলে আনার যে প্রক্রিয়া তাকেই বলা হয় সাম্রাজ্যবাদ । দুর্বল দেশটির জনগণ, সম্পদ - সবকিছুকেই শক্তিমান দেশ অথবা রাষ্ট্রটি নিজের প্রয়োজনে পরিচালনা করে। এর ফলে শক্তিমান যখন তার অধীন দুর্বলের ইতিহাস খুঁজতে যায় তখন দুর্বলের ইতিহাসকে খাটো করে দেখার প্রবণতা শুরু হয়, বলাও শুরু হয় দুর্বলই নয়, অসভ্যও, তাই তার কোনো ইতিহাসও নেই। কিন্তু প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, মধ্যযুগের ইতিহাস যখন খোঁজা শুরু হল তখন দেখা গেল যেভাবে ব্রিটিশরা বলে ভারতের ইতিহাস নেই, তা ঠিক নয়। ইতিহাস আছে, শুধু বিভিন্ন উপাদান থেকে তাকে চেহারা দিতে হবে।

ঔপনিবেশিকালের মূল কথা একটি অঞ্চলের জনগণ ও সম্পদকে অন্য একটি অঞ্চলের স্বার্থে ব্যবহার করা। ভারতের অর্থনীতি একসময় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির স্বার্থ মোতাবেক চলত। বাংলায় নীলচাষ করা হত ইংল্যান্ডের কাপড়কলের নীলের চাহিদা মাথায় রেখে। তাতে করে বাংলার ধান, পাট প্রভৃতি চাষ নষ্ট হত, ফলে বাংলায় অনাহার, দুর্ভিক্ষ দেখা দিত। এই যে ঔপনিবেশবাদের তত্ত্ব তা ভারতের ইতিহাসের উজ্জ্বল তত্ত্ব তা প্রমাণিত ও যথার্থ। 

আবার দেশের শিক্ষিত মানুষ যখন দেশের মধ্যেই অন্যান্য মানুষদের সাথে নিয়ে নিজেদের মতো করে নিজেদের দাবিগুলো নিয়ে কথা শুরু করলেন তখন প্রকট হল জাতীয়তাবাদী তত্ত্ব। ওইসব শিক্ষিত মানুষ যখন ইতিহাস চর্চা শুরু করলেন তখন বিভিন্ন ঘটনার অন্য বিশ্লেষণ হাজির হল। সাম্রাজ্যের স্বার্থের উল্টোদিকে দেশের চিন্তাও ইতিহাসে জায়গা পেতে শুরু করল । সিরাজ উদ-দৌলা নিরীহ ব্রিটিশ কর্মচারীদের হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ব্রিটিশ ঐতিহাসিক । ভারতীয় ঐতিহাসিক অঙ্ক কষে, যুক্তি দিয়ে প্রমান করে দিলেন - সেই অভিযোগ মিথ্যা। ইতিহাসের মধ্যে প্রবেশ করল সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দেশীয় তথা জাতীয়বাদী বিশ্লেষণের দ্বন্দ্ব।

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ইতিহাসের তথ্য, তত্ত্ব, ধারণার পাশাপাশি সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও জাতীয়তাবাদের দ্বন্দ্বের তত্ত্বও আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানের সঙ্গে সম্পর্কিত।


অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।