WBB GUIDE NOTES

Grab Your Seat… Ensure Your Job…. For Details Contact

WBB GUIDE NOTES

Grab Your Seat… Ensure Your Job…. For Details Contact

WBB GUIDE NOTES

Online learning is rapidly becoming one of the most cost-effective ways to educate the world's rapidly expanding workforce.

WBB GUIDE NOTES

Education is the movement from darkness to light.

WBB GUIDE NOTES

Online learning can be a lifeline to those who have obstacles, such as geographical distances or physical disabilities.

WBB GUIDE NOTES

Learning together even when we are apart.

WBB GUIDE NOTES

ONLINE EDUCATION IS LIKE A RISING TIDE, IT'S GOING TO LIFT ALL BOATS.

Whatsaap

Showing posts with label History. Show all posts
Showing posts with label History. Show all posts

22 August 2022

ফরাসি বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণগুলি আলোচনা করো

ফরাসি বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণগুলি আলোচনা করো

Class 9 history chapter 3 questions and answers west bengal board

 

প্রশ্নঃ ফরাসি বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণগুলি আলোচনা করো ।

উত্তরঃ ফরাসি বিপ্লব আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঐতিহাসিক কোবান ফরাসি বিপ্লবকে অসংখ্য ছোটো-বড়ো খরস্রোতা নদীর সমন্বয়ে ছড়িয়ে পড়া ভয়ানক বন্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

● ফরাসি বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণ :

বিভিন্ন অর্থনৈতিক কারণ ফরাসি বিপ্লবের জন্য বিশেষভাবে দায়ী ছিল । যেমন- 

(১) সরকারি অপব্যয় :

ফরাসি রাজপরিবার অকাতরে অর্থব্যয় করে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক শক্তিকে দুর্বল করে দেন। চতুর্দশ লুই, পঞ্চদশ লুই ও ষোড়শ লুই-এর আমলে সম্রাট সহ রাজপরিবারের অমিতব্যয়িতা ও বিলাসিতা চরমে পৌঁছোয়। ফলে ফরাসি রাজকোশ শূন্য হয়ে যায় । 

(২) ব্যয়বহুল যুদ্ধ :

চতুর্দশ ও পঞ্চদশ লুই বিভিন্ন ব্যয়বহুল যুদ্ধে অংশ নিয়ে বিপুল অর্থব্যয় করেন। ষোড়শ লুই আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিয়ে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন ৷ ফলে দেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়। 

(৩) অধিকারভোগীদের আয় :

ফ্রান্সের প্রায় অর্ধেক কৃষিজমিই ছিল যাজক ও অভিজাত সম্প্রদায়ের হাতে। জমি থেকে বিপুল আয় সত্ত্বেও তারা সরকারকে টাইলে বা ভূমিকর, ক্যাপিটেশন বা উৎপাদন কর, ভিটিংয়েমে বা আয়কর প্রভৃতি কর দিত না । তা সত্ত্বেও তারা রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধা ভোগ করত।

(৪) তৃতীয় শ্রেণির করের বোঝা :

রাষ্ট্র, গির্জা ও জমিদাররা তৃতীয় শ্রেগির কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের কর আদায় করত। টাইলে, ক্যাপিটেশন, ভিটিংয়েমে প্রভৃতি প্রত্যক্ষ কর ছাড়াও তারা সরকারকে গ্যাবেলা বা লবণকর, ভোগ্য পণ্যের ওপর কর, যাজকদের টাইদ বা ধর্মকর এইস বা মদ, তামাক প্রভৃতির ওপর কর, করভি বা প্রভুর জমিতে বেগার শ্রমদান, সামন্তপ্রভুদের পথঘাট ব্যবহার, শস্য ভাঙানো ও জমি হস্তান্তরের জন্য কর, অন্যান্য অতিরিক্ত কর প্রভৃতি দিতে বাধ্য হত। এত রকম কর মিটিয়ে কৃষকের হাতে উৎপন্ন ফসলের মাত্র ২০ শতাংশ অবশিষ্ট থাকত ।

(৫) মধ্যবিত্তদের দুরবস্থা :

অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ মনে করেন যে, বিপ্লবের আগে ফ্রান্স ছিল “ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর” ত্রুটিপূর্ণ অর্থনীতির জন্য দেশে দ্রব্যমূল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেলে দরিদ্র মানুষ সীমাহীন দুর্দশার মুখে পড়ে। খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য গরিব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যায় ৷ অন্যদিকে ধনী বুর্জোয়া, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরা স্বাধীন ও অবাধ বাণিজ্যের জন্য শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণ লোপের দাবি জানায়।

মূল্যায়ন :

ঐতিহাসিক মার্সেল রাইনার বলেছেন যে, “ফরাসি বিপ্লবের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পটভূমি বাদ দিয়ে এই বিপ্লবের প্রকৃত কারণ বোঝা যায় না।” ঐতিহাসিক মর্স স্টিফেন্স বিপ্লবের জন্য অর্থনৈতিক কারণের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন যে, “এই বিপ্লবের প্রধান কারণ ছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকুদার্শনিক ও সামাজিক নয়।”






অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

06 August 2022

ইউরোপে জাতীয়তাবাদী ধারণার বিকাশের পরিচয় দাও

ইউরোপে জাতীয়তাবাদী ধারণার বিকাশের পরিচয় দাও



প্রশ্নঃ ইউরোপে জাতীয়তাবাদী ধারণার বিকাশের পরিচয় দাও।

উত্তরঃ ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯ খ্রি.) আগে ইউরোপের মানুষ রাজতন্ত্রের প্রতি সীমাহীন আনুগত্য প্রকাশ করত। বিভিন্ন জাতিকে পদানত করে সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটানোই ছিল সে যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

● ইউরোপে জাতীয়তাবাদী ধারণার বিকাশ : বিপ্লবের পরবর্তীকালে ইউরোপে পরিস্থিতি পালটে যায় এবং রাজতন্ত্র বিরোধী জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে।

1. ফ্রান্সে জাতীয়তাবাদ : ফরাসি বিপ্লবের পরবর্তীকালে সাধারণ মানুষ স্বৈরাচারী রাজা ও রাজতন্ত্রের পরিবর্তে দেশ ও জাতির প্রতি আনুগত্য জানাতে শুরু করে। এভাবে তাদের মনে জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের জন্ম হয় । ফ্রান্সের ‘জাতীয় সভা' ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে ‘পিতৃভূমি বিপন্ন' বলে ঘোষণা করলে ফরাসিদের মধ্যে তীব্র জাতীয়তাবোধের প্রসার ঘটে। দেশে একই ধরনের আইনকানুন চালু হলে দেশবাসীর মধ্যে জাতীয়তাবোধ আরও তীব্র হয়।

2. ফ্রান্সের বাইরে জাতীয়তাবাদ : ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন তাঁর সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা বিপ্লবের ভাবধারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেন। ফলে ফরাসি জাতির জাতীয়তাবাদী চেতনা ইউরোপের অন্যান্য দেশেও প্রসারিত হয়। এর ফলে ফ্রান্সের বাইরে ইটালি, জার্মানি, পোল্যান্ড, পোর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, গ্রিস, বেলজিয়াম, বলকান প্রভৃতি অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিসংগ্রাম শুরু হয় ।

3. নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ : ফরাসি বিপ্লবের পরবর্তীকালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে ইউরোপের বিভিন্ন জাতিকে পদানত করে ফরাসি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু তাঁর রাজত্বের শেষদিকে ইউরোপের বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী ভাবধারা ছড়িয়ে পড়ে। প্রান্তে ফলে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে স্পেন, পোর্তুগাল, জার্মানি প্রভৃতি দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় ।






অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

10 July 2022

নেপোলিয়নের উত্থান ও ক্ষমতালাভ সম্পর্কে আলোচনা করো।

নেপোলিয়নের উত্থান ও ক্ষমতালাভ সম্পর্কে আলোচনা করো। 



প্রশ্নঃ নেপোলিয়নের উত্থান ও ক্ষমতালাভ সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তরঃ আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ছিলেন এক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনায়ক যিনি এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও নিজ প্রতিভার গুণে ফ্রান্সের শাসনক্ষমতা দখল করেন।

■ নেপোলিয়নের উত্থান ও ক্ষমতালাভ:

1. উত্থান: নেপোলিয়ন মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফরাসি গোলন্দাজ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে নিযুক্ত হন। এসময়–[i] ইংরেজ বাহিনীর অবরোধ থেকে ফ্রান্সের তুলো বন্দর মুক্ত (১৭৯৩ খ্রি.) করে সামরিক সাফল্য দেখিয়ে তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের পদে উন্নীত হন। [ii] তিনি উন্মত্ত জনতার আক্রমণ থেকে ফরাসি জাতীয় সভাকে রক্ষা (১৭৯৫ খ্রি.) করেন এবং ফলস্বরূপ মেজর জেনারেল পদ লাভ করেন।

2. সামরিক সাফল্য : ডাইরেক্টরির শাসনকালে (১৭৯৫ '৯৯ খ্রি.) নেপোলিয়ন — [i] ইটালির সার্ডিনিয়া, পার্মা, মডেনা ও নেপসকে পরাজিত করেন। [ii] অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করে মিলান দখল করেন এবং পরে অস্ট্রিয়াকে ক্যাম্পো-ফমিও-এর সন্ধি (১৭৯৭ খ্রি.) স্বাক্ষরে বাধ্য করেন। [iii] পোপের রাজ্য আক্রমণ করে পোপকে টলেন্টিনা-এর সন্ধি (১৭৯৭ খ্রি.) স্বাক্ষরে বাধ্য করেন। [iv] ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পিরামিডের যুদ্ধে (১৭৯৮ খ্রি.) জয় লাভ করলেও নীলনদের যুদ্ধে (১৭৯৮ খ্রি.) পরাজিত হন।

3. ক্ষমতা দখল: ডাইরেক্টরির শাসনকালে শাসনব্যবস্থায় চরম বিশৃঙ্খলার সুযোগে নেপোলিয়ন সেনাবাহিনীর সহায়তায় ডাইরেক্টরির শাসকদের পদচ্যুত করে (১৭৯৯ খ্রি.) ফ্রান্সে 'কনসুলেটের' শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রথমে ১০ বছরের জন্য এবং পরে সংবিধান সংশোধন করে ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে আজীবন কনসাল পদ লাভ করেন। ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে 'সম্রাট' উপাধি গ্রহণের মাধ্যমে নেপোলিয়ন ফ্রান্সে বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন।





অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

07 July 2022

টীকা লেখো ইজারাদারি ব্যবস্থা ও 'উইলিয়াম কেরি ও ব্যাপটিস্ট মিশন'

ইজারাদারি ব্যবস্থা  'উইলিয়াম কেরি ও ব্যাপটিস্ট মিশন'



 ● টীকা লেখো : ইজারাদারি ব্যবস্থা।

উত্তরঃ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য জমি ইজারা দেওয়ার যে বন্দোবস্ত ব্যবস্থা চালু করেছিল তাকেই বলা হত 'ইজারাদারি ব্যবস্থা'। ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলায় ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত নিয়ে নানা পরীক্ষা করতে শুরু করেছিল। প্রথমে জমির নিলামে সবচেয়ে বেশি ডাক দেওয়া ব্যক্তিকে জমি দেওয়া হত। পরে প্রতি বছর বা এক বছর করে একজন ব্যক্তির সঙ্গে কোম্পানি ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত করে। ১৭৭২ খ্রিস্টাবদের জুন মাসে ওয়ারেন হেস্ট্রিংস নদীয়া জেলায় একটি নতুন ভূমি-রাজস্ব বন্দোবস্ত চালু করেন। সেই বন্দোবস্ত অনুযায়ী যে ব্যক্তি জমির নিলামে সবথেকে বেশি খাজনা দেওয়ার ডাক দেবে তার সঙ্গে কোম্পানি ওই জমির বন্দোবস্ত করবে। পাঁচ বছরের জন্য ওই জমি ওই ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হত বলে ওই বন্দোবস্তকে ইজারাদারি বন্দোবস্ত বলা হত । তবে অনেক ইজারাদারই গ্রাম সমাজের বাইরের লোক হওয়ায় ঠিকমতো রাজস্ব নির্ণয় করতে না পারার কারণে এবং দেয় রাজস্ব শোধ করতে না পারার জন্য পরে ইজারা বন্দোবস্ত তুলে দেওয়া হয়।

● টীকা লেখো : 'উইলিয়াম কেরি ও ব্যাপটিস্ট মিশন'।

উত্তরঃ শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে পড়াতেন। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের পাশাপাশি শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন স্থাপন করা হয়েছিল। শ্রীরামপুরের মিশনারিরা ব্রিটিশ কোম্পানির তরফে শিক্ষা বিস্তারের বিভিন্ন উদ্যোগে সামিল হন। নিজের মুদ্রণ যন্ত্র বসিয়ে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন লেখা ছাপতে শুরু করেন। শ্রীরামপুরের মিশনারিদের মধ্যে উইলিয়ম কেরিই ভারতীয় মহাকাব্যগুলি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। বাইবেলের একটি অংশকেও তিনি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে হালেদের লেখা বাংলা ব্যাকরণ বিষয়ক বিটিকেও সম্পাদনা করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেছিলেন।





অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া। স্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া। স্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।


প্রশ্নঃ ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া। স্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

উত্তরঃ ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির স্বার্থরক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চার বিষয় আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমেই ওয়ারেন হেস্টিংসের নাম উল্লেখ করতে হয়। তিনি এ বিষয়ে এক বিশেষ ধরনের শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

ফারসি ও অন্যান্য ভাষা জানা ভারতীয়দের তিনি রাজস্ব দপ্তরের কাজে নিয়োগ করেছিলেন। কোম্পানির কর্মচারীদের সুবিধার জন্য হিন্দু ও মুসলিম আইনগুলিকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন হেস্ট্রিংস । অন্যদিকে কোম্পানির বিভিন্ন নিয়মনীতিগুলোকেও বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল। ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে আরবি ও ফারসি ভাষাচর্চার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে জোনাথন ডানকান হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উভয়েরই মূল উদ্দেশ্য ছিল ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিত ব্যক্তিরা উপনিবেশিক শাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে সুগঠিত করার কাজে সহায়তা করবেন। ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উইলিয়ম জোনস। তাঁর উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য ছিল সংস্কৃত ভাষায় লেখা প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যগুলি আধুনিক ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করা। তাঁর মতে এই চর্চার ফলে ভারতের শিক্ষিত মানুষদের সঙ্গে ব্রিটিশদের বোঝাপড়া অনেক সুষম হবে এবং ঔপনিবেশিক পবশাসন আরও সুগম হয়ে উঠবে। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্থাপন করা হয়। ওই মিশনের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছিলেন উইলিয়ম কেরি । তিনি ভারতীয় মহাকাব্যগুলি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। তা ছাড়া বাইবেলের একটি অংশ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করেন।

১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে আলেকজান্ডার ডাফ কলকাতায় অনেকগুলি মিশনারি স্কুল তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন যার মধ্যে বিখ্যাত ছিল জেনারেল অ্যাসেম্বলি ইনস্টিটিউশন।

১৮২১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয় যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সংস্কৃত সাহিত্যের চর্চার পাশাপাশি পাশ্চাত্য জ্ঞানের বিকাশ ঘটানো।

১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ইংরেজি ভাষা নির্ভর পাশ্চাত্য শিক্ষার দ্রুত বিস্তার ঘটতে থাকে। ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে একটি প্রতিবেদনে সরাসরি বলা হয় যে, ইংরেজি শিক্ষার বিস্তারে প্রশাসন বেশি জোর দেবে। ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে সরকারি চাকুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষাজ্ঞানকে আবশ্যক বলে ঘোষণা করা হয়। ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা- নীতির পিছনে লর্ড মেকলের শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেদনে মেকলে বলেন ভারতে ইংরেজি-শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী তৈরি করাই ঔপনিবেশিক প্রশাসনের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। উডের প্রতিবেদনও সরকারকে প্রাথমিক থেকে বিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত একটি সুগঠিত শিক্ষা কাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়- শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ও ভারতীয় দু-ধরনের ভাষা চর্চার কথা বলা হয়েছে।

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে একথাই প্রতিপন্ন হয় যে ঔপনিবেশিক প্রশাসনের তরফে গৃহীত শিক্ষাবিস্তার নীতির মূল উদ্দেশ্যই ছিল সমাজে কিছু সংখ্যক মানুষকে শিক্ষিত করে তোলা, বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করে ঔপনিবেশিক প্রশাসনিক কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত করে নেওয়া।





অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

03 July 2022

ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে ১৭৭৩ খ্রিস্টানদের রেগুলেটিং আইনের ভূমিকা কী ছিল? টীকা লেখো : 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন'।

ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে ১৭৭৩ খ্রিস্টানদের রেগুলেটিং আইনের ভূমিকা কী ছিল? টীকা লেখো : 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন'।

What was the purpose of the centralization of the Indian administration and what was the role of the regulating law of 183 Christians in controlling the activities of the company in India? 'Pitt's Government of India Act'.

wbb_guide_notes


প্রশ্নঃ ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে ১৭৭৩ খ্রিস্টানদের রেগুলেটিং আইনের ভূমিকা কী ছিল?

উত্তরঃ ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রেকরণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং আইন পাস করে। ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া কাজকারবারের ওপর সরাসরি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণ বলবৎ করাই এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল ।

রেগুলেটিং আইন অনুসারে মাদ্রাজ, বোম্বাই এবং বাংলা প্রেসিডেন্সির তিনটির স্বতন্ত্র কার্যকলাপের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়। গভর্নর জেনারেল বলে একটি নতুন পথ তৈরি করা হয়। ঠিক হয় বাংলার গভর্নরই হবেন গভর্নর জেনারেল। তাঁর অধীনেই মাদ্রাজ ও বোম্বায়ের বাণিজ্যিক ঘাঁটিগুলির গভর্নরের থাকবেন । গভর্নর জেনারেলের পদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। চারজন সদস্য নিয়ে তৈরি হবে একটি গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিল। বস্তুত, এই আইনের ফলে কলকাতা ভারতের ব্রিটিশ শাসনের রাজধানীতে পরিণত হয়।

প্রশ্নঃ টীকা লেখো : 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন'।

উত্তরঃ পিট ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির কার্যকলাপের ওপর ব্রিটেনের পার্লামেনন্টের নজরদারি নিশ্চিত করার জন্য একটি আইন পাস করেন যাকে 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন' বলা হয় । ১৭৮৫ খ্রিস্টানদের ১ জানুয়ারি ওই আইন বলবৎ হয়।

পিট প্রণীত আইন মোতাবেক একটি বোর্ড অফ কন্ট্রোল তৈরি করা হয়। সেই বোর্ডকে কোম্পানির সামরিক ও অসামরিক শাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থা পরিচালনার পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই আইনে স্পষ্ট বলা হয় যে ভারতে কোম্পানির সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাই গভর্নর জেনারেলের কর্তৃত্ব মেনে চলতে বাধ্য থাকবে ৷






অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

28 June 2022

কোম্পানি শাসনের সঙ্গে জমি জরিপের সম্পর্ক কী ছিল? ইজারাদারি বন্দোবস্ত চালু করা ও তা তুলে দেওয়ার পিছনে কী কী কারণ ছিল?

কোম্পানি শাসনের সঙ্গে জমি জরিপের সম্পর্ক কী ছিল? ইজারাদারি বন্দোবস্ত চালু করা ও তা তুলে দেওয়ার পিছনে কী কী কারণ ছিল?

What was the relationship of land survey with company governance? What were the reasons behind the introduction and lease of the lease settlement?



প্রশ্নঃ কোম্পানি শাসনের সঙ্গে জমি জরিপের সম্পর্ক কী ছিল? ইজারাদারি বন্দোবস্ত চালু করা ও তা তুলে দেওয়ার পিছনে কী কী কারণ ছিল?

উত্তরঃ কোম্পানি শাসনের সঙ্গে জমি জরিপের বিশেষ সম্পর্ক ছিল। ভারতে ঔপনিবেশিক প্রশাসনকে আর্থিক দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার জন্য যে নানা প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছিল তার মধ্যে জমি জরিপ করা ও তার ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ণয় করার পদ্ধতিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

জমি জরিপ করে তার ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ করলে জমির মালিকদের রাজস্ব দিতে ও রাজস্ব আদায়কারীদের রাজস্ব আদায় করতে বিশেষ সুবিধা হয় ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু করার পিছনে কারণগুলি হল-

প্রথমত, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সঠিক সময়ে সঠিক ভূমি রাজস্ব, খাজনা আদায় করা সম্ভব হত।

দ্বিতীয়ত, এই ব্যবস্থায় জমির নিলামে বেশি খাজনাও পাওয়া যেত কারণ যে বেশি খাজনা দেওয়ার ডাক দিত তার সঙ্গেই কোম্পানি ওই জমির বন্দোবস্ত করত।

তৃতীয়ত, সর্বপ্রকারের জটিলতা-ঝামেলা থেকে মুক্তির জন্য বেশি সময়ের জন্যও (পাঁচ বছর, দশ বছর) ইজারা দেওয়া হত যার ফলে পুনরায় বন্দোবস্ত পাঁচ-দশ বছর অন্তর অন্তর করতে হত অথচ একসাথে অনেক বেশি ভূমি রাজস্ব পাওয়া যেত।

ইজারাদারি ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার কারণ-

প্রথমত, বেশিরভাগ ইজারাদারিই গ্রামের বাইরে বা শহরে বসবাস করত। তারা কেবলমাত্র টাকার জোরেই এই বন্দোবস্তের সঙ্গে যুক্ত হত। ভালোমন্দ বিচার করার ক্ষমতা তাদের ছিল না।

দ্বিতীয়ত, গ্রাম সমাজের বাইরের লোক হওয়ায় তারা ঠিকমতো রাজস্ব নির্ধারণ করতে পারত না। তারাও ইজারাদারি সংক্রান্ত কাজ অন্য লোকের মাধ্যমে পরিচালিত করাত। ফলে অনেক ক্ষেত্রে রাজস্ব আদায়ের থেকে বেশি হয়ে যেত।

তৃতীয়ত, দেয় রাজস্ব অনেক ক্ষেত্রেই শোধ করতে পারত না। বিশেষ করে রাজস্ব আদায়ের কারণেই ইজারাদারি বন্দোবস্ত তুলে দেওয়া হয়েছিল।







অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

26 June 2022

ব্রিটিশ কোম্পানির পবশাসন ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্রের ভূমিকা কী ছিল? কীভাবে আমলারা একটি সংকীর্ণ গোষ্ঠী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল?

ব্রিটিশ কোম্পানির পবশাসন ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্রের ভূমিকা কী ছিল? কীভাবে আমলারা একটি সংকীর্ণ গোষ্ঠী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল?


প্রশ্নঃ ব্রিটিশ কোম্পানির পবশাসন ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্রের ভূমিকা কী ছিল? কীভাবে আমলারা একটি সংকীর্ণ গোষ্ঠী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল?

What was the role of bureaucracy in the system of governance of British companies? How did the bureaucrats unite as a narrow group?

উত্তরঃ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন ব্যবস্থায়। তন্ত্রের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমলাতন্ত্রই ছিল অসামরিক শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক শাসকের প্রধান হাতিয়ার। আমলাতন্ত্রের কাজ ছিল সরকারের গৃহীত নীতিগুলোর প্রয়োগ করা। ভারতে ব্রিটিশ পবশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য লর্ড কর্নওয়ালিস উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। চাকুরির মেয়াদের ভিত্তিতে সিভিল সার্ভেন্টদের পদোন্নতি ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। কর্মচারীদের বেতনও বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ভারতে ইংরেজ শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনে আমলাদের প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা উপলব্ধি করেছিলেন । বিভিন্ন কলেজ প্রতিষ্ঠা করে আমলাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন ।

হেইলবেরি কলেজে আমলাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা শুরু হলে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার সমস্ত প্রার্থীদেরই হেইলবেরি কলেজে যোগ দিতে হত। উক্ত কলেজে পড়ার সময় সিভিল সার্ভেন্টদের মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ তৈরি হয় ও তারা নিজেদের একটি আলাদা গোষ্ঠী হিসেবে ভাবতে শুরু করে। এইভাবেই আমলারা একটা সংকীর্ণ ও ঐক্যবদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।






অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

কোম্পানি শাসনের শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে বাংলার সঙ্গে বোম্বাইয়ের কোনো তফাৎ ছিল কী? কোম্পানির শিক্ষানীতির প্রভাব ভারতীয় সমাজে কীভাবে পড়েছিল বলে তোমার মনে হয়?

কোম্পানি শাসনের শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে বাংলার সঙ্গে বোম্বাইয়ের কোনো তফাৎ ছিল কী? কোম্পানির শিক্ষানীতির প্রভাব ভারতীয় সমাজে কীভাবে পড়েছিল বলে তোমার মনে হয়?


 প্রশ্নঃ কোম্পানি শাসনের শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে বাংলার সঙ্গে বোম্বাইয়ের কোনো তফাৎ ছিল কী? কোম্পানির শিক্ষানীতির প্রভাব ভারতীয় সমাজে কীভাবে পড়েছিল বলে তোমার মনে হয়?

Was there any difference between Bombay and Bengal in terms of company education policy? How do you think the company's education policy impacted Indian society?

উত্তরঃ কোম্পানির শাসনের শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে বাংলার সঙ্গে বোম্বায়ের বিশেষ কোনো তফাৎ ছিল না। তবে বোম্বায়ের ব্রিটিশ প্রশাসক মনে করতেন কেবলমাত্র বোম্বাই শহরের মধ্যেই ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পড়াশোনা করানো উচিত। পরবর্তীকালে বোম্বাই প্রেসিডেন্সিতেও অন্যান্য ভাষার মাধ্যমে স্কুলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলার মতোই শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল ।

ভারতীয় সমাজে কোম্পানির শিক্ষানীতির প্রভাব কীভাবে পড়েছিল তা আলোচনা করতে গেলে বলতে হয় যে কোম্পানির শিক্ষানীতির উদ্দেশ্যই ছিল সমাজের কিছু সংখ্যক মানুষকে শিক্ষিত করে ইউরোপীয় প্রশাসনিক কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত করে নেওয়া। সেই উদ্দেশ্যে কোম্পানি কলকাতা তথা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মিশনারি স্কুল স্থাপন করেছিলেন। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই ছিল ইংরেজি মাধ্যম।

পরবর্তীকালে প্রয়োজন অনুসারে মাতৃভাষাসহ অন্যান্য ভাষামাধ্যমও গড়ে উঠেছিল । তাদের এরূপ ব্যবস্থার ফলে ভারতীয়দের মধ্যে শিক্ষার একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল এবং বেশ কিছু মানুষ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বলেই পরবর্তী ক্ষেত্রে কিছু শিক্ষিত মানুষ তৈরি হয়েছিল। পরে লক্ষ করা যায় যে ওই সমস্ত শিক্ষিত মানুষরাই বিভিন্নভাবে ভারতকে ঔপনিবেশিক নন থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতার পথ দেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

একথাও বলতে হয় যে বাস্তবে সার্বিক গণশিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষাকেই নির্দিষ্ট করে দেওয়ার ফলে শিক্ষা বিস্তারের গণমুখী চরিত্র তৈরি হয়নি। পাশাপাশি হাতেকলমে শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় কেবল পুথিগত বিদ্যাচর্চার ওপরেই শিক্ষার বিস্তার নির্ভর করেছিল । উপরন্তু পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতি অনেক ক্ষেত্রেই নির্বিচার সমর্থনের ফলে ভারতীয় প্রচলিত শিক্ষাচর্চা ক্রমে অবলুপ্তির মুখোমুখি হয়েছিল। নারীশিক্ষার বিষয়টিকেও অবহেলা করা হয়েছিল ।

উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একথায় বলা যায় যে, কোম্পানির শিক্ষানীতির ফলে কতকগুলি দিক আশানুরূপ না হলেও ভারতীয় সমাজে মন্দের তুলনায় ভালো প্রভাবই বেশি পড়েছিল ।






অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

20 June 2022

ওয়ারেন হেস্টিংস ও লর্ড কর্নওয়ালিসের বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের তুলনামূলক আলোচনা করো। ওই সংস্কার গুলির প্রভাব ভারতীয়দের উপর কীভাবে পড়েছিল?

ওয়ারেন হেস্টিংস ও লর্ড কর্নওয়ালিসের বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের তুলনামূলক আলোচনা করো। ওই সংস্কার গুলির প্রভাব ভারতীয়দের উপর কীভাবে পড়েছিল?

Compare the judicial reforms of Warren Hastings and Lord Cornwallis. How did those reforms affect Indians?

ওয়ারেন হেস্টিংস ও লর্ড কর্নওয়ালিসের বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের তুলনামূলক আলোচনা করো। ওই সংস্কার গুলির প্রভাব ভারতীয়দের উপর কীভাবে পড়েছিল?

উত্তরঃ ওয়ারেন হেস্টিংস ও লর্ড কর্নওয়ালিসের বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের তুলনামূলক আলোচনা ওয়ারেন হস্টিংস ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থায় কয়েকটি সংস্কার এনেছিলেন। বিচার ব্যবস্থায় তিনি ইউরোপীয়করণ করার চেষ্টা করেছিলেন। বিচার বিভাগের সমস্ত আদেশ লিখিত রাখার কথা বলেছেন। প্রচলিত আইনগুলির ব্যাখ্যা করে বিচারে সমতা আনার জন্য ১১ জন পণ্ডিতকে দিয়ে হিন্দু আইনগুলির একটি সারসংকলন তৈরি করেন। একইভাবে মুসলমান আইনগুলিও একটি সংকলন তৈরি করেন। তাঁর এই কাজের ফলে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সমবিচারের জন্য ইউরোপীয় বিচারকদের বিশেষ সুবিধা হয়েছিল।

অন্যদিকে হেস্টিংস নতুন বিচার ব্যবস্থার সূচনা করলেও তাকে সুসংহত করে তোলেন লর্ড কর্নওয়ালিস । কর্নওয়ালিস কোড বা বিধিবদ্ধ আইন চালু করেন। জেলা থেকে সদর পর্যন্ত আদালতি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা করেন। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের ব্যবস্থা করেন। তবে উভয়ের বিচার ব্যবস্থায় আদালতের প্রধান বিচারপতি হতেন ইউরোপীয়রাই।

উভয় বিচার ব্যবস্থার উপরেই ইউরোপীয়রা অধিষ্ঠিত থাকায় বিচার ব্যবস্থা সংস্কারিত হলেও কার্যকারী ভূমিকা পালন করতে পারেনি। সমতার কথা বলা হলেও ইউরোপীয়দের জন্য আলাদা আইন ও আদালত ছিল । সংস্কারের ব্যবস্থাগুলি বাস্তবে ভারতীয়রা বুঝে উঠতেও পারেনি। তাদের কাছে বিচার ব্যবস্থাগুলি জটিলই ছিল উপরন্তু ব্যয়বহুল ছিল। সাধারণ ভারতীয়দের কাছে এই সংস্কার বিশেষ কিছু সুবিধার সৃষ্টি করতে পারেন





অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

07 June 2022

Class 8 history chapter 2 long questions and answers in bengali

Class 8 history chapter 2 long questions and answers


প্রশ্নঃ অষ্টাদশ শতকে ভারতে প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থানের পিছনে মুঘল সম্রাটদের ব্যক্তিগত অযোগ্যতাই কেবল দায়ী ছিল? তোমার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তরঃ অষ্টাদশ শতকে ভারতে প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থানের পিছনে মুঘল সম্রাটদের ব্যক্তিগত অযোগ্যতা অনেকাংশে দায়ী ছিলই, তা ছাড়াও অন্যান্য নানাবিধি কারণ ছিল।

সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর খুব দ্রুত মুঘল সাম্রাজ্যের শক্তি নষ্ট হতে থাকে এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থানও ঘটতে থাকে । তাঁর শাসনকালের শেষের দিকে মুঘল সাম্রাজ্যের কাঠামোগত দুর্বলতাগুলোও স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল । ঔরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারীরা সেই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারেনি উপরন্তু অযোগ্যতার ফলে সেই দুর্বলতাগুলো আরোও বেশি মাথাচাড়া দিয়েছিল।

সামরিক ব্যবস্থার দুর্বলতা ও অবনতির কারণেও আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থান হয়েছিল বলে মনে করা হয় কারণ অষ্টাদশ শতকের মুঘল সম্রাটরা সামরিক সংস্কারের দিকে দৃষ্টি দেননি। ফলে সাম্রাজ্যের ভিতরে এবং বাইরের আক্রমণ ও আঞ্চলিক শক্তির উত্থানের মোকাবিলা করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি । শিবাজি ও মারাঠাদের আক্রমণ, নাদির শাহের নেতৃত্বে পারসিক আক্রমণ, মোহম্মদ শাহ আবদালির নেতৃত্বে আফগান আক্রমণ,জায়গিরদারি ও মনসবদারি ব্যবস্থার সঙ্কট, ভূমি রাজস্বের হিসাবে গরমিলের কারণে সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থা, দরবারে অভিজাতদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, ব্যক্তিগত লাভক্ষতির প্রতি বেশি মনযোগ, কৃষক বিদ্রোহ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময় বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়ে। শাসনক্ষমতা ও কাঠামোর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থান ঘটতে থাকে। 

প্রশ্নঃ পলাশির যুদ্ধ ও বক্সারের যুদ্ধের মধ্যে কোনটি ব্রিটিশ কোম্পানির ভারতে ক্ষমতা বিস্তারের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল? তোমার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তরঃ পলাশির যুদ্ধ এবং বক্সারের যুদ্ধের মধ্যে ব্রিটিশ কোম্পানির ভারতে ক্ষমতা বিস্তারের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বক্সারের যুদ্ধ।

১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজ উদ-দৌলার বিশাল সেনাবাহিনী ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ইংরেজদের সামান্য সংখ্যক সেনাবাহিনীর কাছে পরাজিত হয়। ফলে বাংলায় ইংরেজদের প্রভুত্ব স্থাপনের সুবিধা হয়।

পরবর্তী সময়ে ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে মির কাশিম অযোধ্যার নবাব সুজা উদদৌলা ও দিল্লীর মুঘল সম্রাট শাহ আলমকে সাথে নিয়ে এক বিশাল সেনাবাহিনী গঠন করে বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। ভারতের ক্ষমতা বিস্তারের ক্ষেত্রে বক্সারের যুদ্ধ বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ পলাশির যুদ্ধে শুধুমাত্র বাংলার নবাবের পরাজয় ঘটেছিল কিন্তু বক্সারের যুদ্ধে অযোধ্যার নবাব ও দিল্লীর মুঘল সম্রাট এবং বাংলার নবাবের পরাজয় ঘটেছিল। বাংলায় রাজনৈতিক প্রভুত্ব স্থাপনের প্রশ্নে নবাব ও ইংরেজ কোম্পানির বিবাদের অবলুপ্তি ঘটেছিল ৷ ইংরেজদের সামরিক শক্তির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়েছিল । এলাহাবাদের চুক্তি অনুসারে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কোম্পানি ৫০ লক্ষ টাকা লাভ করেন এবং বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মুঘল সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন যা পরবর্তীকালে বাংলা, বিহার, উরিষ্যা তথা সারা ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্ষমতা বিস্তারের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল।

উপরিউক্ত আলোচনায় এটাই প্রতিপন্ন হয় যে ভারতে ক্ষমতা বিস্তারের ক্ষেত্রে পলাশি যুদ্ধের থেকে বক্সারের যুদ্ধই ছিল অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্নঃ মির কাশিমের সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানির বিরোধের ক্ষেত্রে কোম্পানির বণিকদের ব্যক্তিগত ব্যবসার কী ভূমিকা ছিল? বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থার প্রভাব কী হয়েছিল?

উত্তরঃ মির কাশিমের সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানির বিরোধের ক্ষেত্রে কোম্পানির বণিকদের ব্যক্তিগত ব্যবসার বিশেষ ভূমিকা ছিল। 

প্রথমত, কোম্পানির বণিকরা ব্যক্তিগতভাবে বেআইনি ব্যবসা করত ফলে বাংলার অর্থনীতি বিশেষ সমস্যার মুখে পড়েছিল । 

দ্বিতীয়ত, কোম্পানির বণিকরা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার জন্য নবাবের প্রাপ্য রাজস্বের ঘাটতি পড়েছিল।

তৃতীয়ত, দেশীয় ব্যবসায়ীদের নবাবকে শুল্ক দিয়ে ব্যবসা করতে হত ৷ ফলে দেশীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে নবাবের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছিল ।

চতুর্থত, পরবর্তী ক্ষেত্রে নবাব দেশীয় বণিকদের ওপর থেকে বাণিজ্য শুল্ক তুলে নেন ফলে নবাবের কোশাগার অর্থসংকটের মুখে পড়ে।

পঞ্চমত, মির কাশিম দেশি-বিদেশি সমস্ত বণিকদের দেয় শুল্ক তুলে দেন যার পরিণতি হল মির কাশিমের সঙ্গে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সরাসরি বিরোধ। বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থার প্রভাব বাংলার জনগণের কাছে একেবারেই শুভ ছিল না কারণ এই ব্যবস্থায় বাংলার অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার ছিল ব্রিটিশ কোম্পানির হাতে । কোম্পানিও বেশি করে রাজস্ব আদায়ের দিকে বেশি মনোযোগ হয়ে উঠেছিল, কুশাসন ও অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। সাধারণ মানুষের দুঃখ দূর্দশা বেড়ে গিয়েছিল। ফলস্বরুপ বাংলায় দেখা দিয়েছিল ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ যা ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত।

প্রশ্নঃ ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি থেকে স্বত্ববিলোপ নীতিতে বিবর্তনকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবে?

উত্তরঃ ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি ও স্বত্ববিলপ নীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।

লর্ড ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি ও লর্ড ডালহৌসির স্বত্ববিলপ নীতি ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।

অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি অনুসারে ভারতীয় রাজারা কোম্পানির সঙ্গে মিত্রতা সূত্রে আবদ্ধ হলে বহিঃশত্রুর আক্রমণ ও অভ্যন্তরীণ গোলযোগ থেকে তাঁর রাজ্যকে রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানি গ্রহণ করবে - এই উদ্দেশ্যে প্রত্যেক মিত্র রাজ্যকে নিজ খরচে একদল ব্রিটিশ সৌন্য রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেক মিত্র রাজ্য অন্য কোনো বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিত্রতা করতে পারবে না বা কোনো ইউরোপীয়কে চাকুরী দিতে পারবে না। নিজ রাজ্যের বাইরের কোনো রাজ্যের সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখতে পারবে না। এই নীতির প্রয়োগে হায়দরাবাদের নিজাম, অযোধ্যার নবাব, তাঞ্জোর ও সুরাটের শাসক, বরোদার গায়কোয়াড এবং পেশোয়ার দ্বিতীয় বাজিরাও প্রমুখ মিত্রতা সূত্রে আবদ্ধ হন। সিন্ধিয়া, ভোঁসলে, হোলকর যুদ্ধ করতে গিয়ে পরাজিত হন ও মিত্রতা নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য হন। রাজপুর, জয়পুর, যোধপুর পরপর চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয় । মহিশূরের টিপু সুলতান এই নীতি গ্রহণে অস্বীকার করলে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হন। এইভাবে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির প্রয়োগে ব্রিটিশ কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের পথ প্রশস্ত হয় । স্বত্ববিলোপ নীতি অনুসারে কোম্পানির আশ্রিত বা সাহায্যপুষ্ট কোনো ভারতীয় রাজা নিঃসন্তান হলে তিনি কোনো দত্তক পুত্র বা পোষ্যপুত্র গ্রহণ করতে পারবেন না। নিঃসন্তান অবস্থায় কোনো রাজার মৃত্যু হলে তাঁর রাজ্য সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই নীতি প্রয়োগ করে লর্ড ডালহৌসি সাতারা, নাগপুর, উদয়পুর, সম্বলপুর, ঝাঁসি, কর্ণাটক, তাঞ্জোর প্রভৃতি রাজ্যগুলিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। ছলে-বলে-কৌশলে প্রথমে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি ও তার পরবর্তীকালে স্বত্ববিলোপ নীতির প্রয়োগ ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারকে ত্বরান্বিত করেছিল। 

প্রশ্নঃ মুর্শিদকুলি খান ও আলিবর্দি খান-এর সময়ে বাংলার সঙ্গে মুঘল শাসনের সম্পর্কের চরিত্র কেমন ছিল?

উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খান ও আলিবর্দি খান-এর সময়ে বাংলার সঙ্গে মুঘল শাসনের সম্পর্কের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলতে হয় মুর্শিদকুলি খানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকলেও আলিবর্দি খানের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। বাংলার দেওয়ান হিসেবে দিল্লির মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবই মুর্শিদকুলি খানকে পাঠান । পরে বাহাদুর শাহের আমলেও মুর্শিদকুলি খান ওই পদেই বহাল ছিলেন। সম্রাট ফাররুখশিয়ারের আমলে মুর্শিদকুলি খান-এর নিয়োগ পাকাপাকি হয়। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলার নিজাম পদও দেওয়া হয় মুর্শিদকুলি খানকেই। দিল্লির মুঘল শাসনের সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্যই পরবর্তীকালে মুর্শিদকুলি খান বাংলার দেওয়ান ও নিজামের যৌথ দায়িত্ব পান । এককথায় বলা যায় মুর্শিদকুলি খানের নেতৃত্বেই আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বাংলার উত্থান ঘটে। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর সময়ও মুঘল সম্রাটদের সঙ্গে তাঁর খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর পর সেনাপতি আলিবর্দি খান বাংলার ক্ষমতা দখল করার পর সুবা বাংলার অধিকার মুঘলদের হাতে চলে যায় ৷ এই সময় মুঘল সম্রাটকে স্বীকার করা হত ঠিকই কিন্তু শাসনতান্ত্রিক কোনো খবরাখবর মুঘল সম্রাটকে জানানো হত না, নিয়মিত রাজস্ব পাঠানোও হত না । আলিবর্দি খান বাংলা-বিহার-উরিষ্যায় স্বশাসিত পৰশাসন চালাতেন।

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট হয় যে, মুর্শিদকুলি খানের সঙ্গে মুঘল শাসনের সম্পর্ক ভালো থাকলেও আলিবর্দি খানের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। যার পরিণতিতে বাংলায় নানা সংঘাত অরাজকতার মধ্যে ব্রিটিশ কোম্পানি আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়।


অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।


06 June 2022

Class 8 history chapter 2 short questions and answers in bengali

 Class 8 history chapter 2 short questions and answers

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায়



১। 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

উত্তরঃ

               'ক' স্তম্ভ

         'খ' স্তম্ভ

অযোধ্যা

সাদাৎ খান

১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দ

বক্সারের যুদ্ধ

স্বত্ববিলোপ নীতি

লর্ড ডালহৌসি

লাহোরের চুক্তি

প্ৰথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ

টিপু সুলতান

মহিশূর

 

২ । ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :

(ক) ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মুর্শিদকুলি খান ছিলেন বাংলার - (দেওয়ান/ফৌজদার/নবাব)।
উত্তরঃ দেওয়ান ।
(খ) আহমদ শাহ আবদালি ছিলেন - (মারাঠা/আফগান/পারসিক)।
উত্তরঃ আফগান ।
(গ) আলিনগরের সন্ধি হয়েছিল - (মিরজাফর ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে/সিরাজ ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে/মিরকাসিম ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে)।
উত্তরঃ সিরাজ ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে)।
(ঘ) ব্রিটিশ কোম্পানিকে বাংলা-বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানির অধিকার দেন - (সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম/সম্রাট ফাররুখশিয়র/সম্রাট ঔরঙ্গজেব)।
উত্তরঃ সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ।
(ঙ) স্বেচ্ছায় অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি মেনে নিয়েছিলেন - (টিপু সুলতান/সাতাৎ খান/নিজাম) ।
উত্তরঃ নিজাম।
 

৩ । অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০ টি শব্দ) :

(ক) ফাররুখশিয়রের ফরমানের গুরুত্ব কী ছিল?
উত্তরঃ ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অনুকূলে এক ফরমান(আদেশ) জারি করেন যা 'ফাররুখশিয়রের ফরমান' নামে পরিচিত। এই ফরমান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ফরমান মোতাবেক কোম্পানি বাংলাদেশে যে সমস্ত বিশেষ বাণিজ্যিক অধিকার ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়েছিল তাতে বাংলায় তাদের অবাধ বাণিজ্যের পথ খুলে যায় । ফলে বাংলার নবাবের সঙ্গে কোম্পানির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের পটভূমি তৈরি হয় ।
(খ) কে, কীভাবে এবং কবে হায়দ্রাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ মুঘল দরবারের শক্তিশালী অভিজাত মির কামারউদ্দিন খান সিদ্দিকি হায়দ্রাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
হায়দ্রাবাদের মুঘল প্রাদেশিক শাসক ছিলেন মুবারিজ খান। ১৭২৩ খ্রিস্টাব্দে কামারউদ্দিন খান সিদ্দিকী মুবারিজ খানকে হারিয়ে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।
(গ) 'পলাশির লুণ্ঠন' কাকে বলে?
উত্তরঃ পলাশির যুদ্ধে জয়লাভের পর রবার্ট ক্লাইভ মিরজাফরকে বাংলার সিংহাসনে বসিয়ে তাকে সাহায্যের পরিবর্তে বাংলার প্রচুর সম্পদ ও নবাবের সমস্ত ক্ষমতা হস্তগত করতে থাকেন। মিরজাফরকে প্রচুর অর্থ ও উপচৌকন দিতে বাধ্য করেন। কোম্পানির কর্মচারীরাও মিরজাফরের কাছ থেকে, বাংলার জমিদার ও অবস্থাপন্ন লোকেদের থেকে প্রচুর টাকা আদায় করতে থাকেন। ফলস্বরূপ বাংলার রাজকোশ শূন্য হয়ে যায়। পলাশির যুদ্ধের পর বাংলা থেকে এই লজ্জাজনক শোষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনাকেই বলা হয় 'পলাশির লুণ্ঠন'।
(ঘ) দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ দিল্লির বাদশাহ শাহ আলমের ফরমান অনুযায়ী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার দেওয়ানীর অধিকার পায় ৷ ফলে এক নতুন ধরনের রাজনৈতিক শাসনতন্ত্র কায়েম হয় । অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীন রাজনৈতিক দায়িত্ব, যাবতীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকে নবাব নজম-উদ-দৌলার ওপর। অন্যদিকে দায়িত্বহীন অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার থাকে ব্রিটিশ কোম্পানির হাতে। বাংলার শাসনব্যবস্থায় এই দুইজন শাসকের শাসনব্যবস্থাকে বলা হয় 'দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা'।
 (ঙ) ব্রিটিশ রেসিডেন্টদের কাজ কী ছিল?
উত্তরঃ ব্রিটিশ কোম্পানি ভারতে বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন রাজদরবারে তাদের যে প্রতিনিধি রাখতেন তারাই 'রেসিডেন্ট' নামে পরিচিত ছিল। সেই সমস্ত রেসিডেন্টদের কাজ ছিল 

প্রথমত, কোম্পানির পরোক্ষ শাসন ব্যবস্থায় সাহায্য করা।

দ্বিতীয়ত, কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থররক্ষা কাজে সাহায্য করা।

তৃতীয়ত, কোম্পানির নজর এড়িয়ে ভারতীয় রাজশক্তিগুলি কোম্পানি-বিরোধী কোনো কাজ করছে কিনা সেই বিষয়ে নজরদারি করা।

চতুর্থত, ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ নির চূড়ান্ত ক্ষমতার রূপ দেওয়ার কাজে সাহায্য করা।

৪ ৷ দু-এক কথায় উত্তর দাও :

(১) ঔরঙ্গজেব সুবা বাংলায় রাজস্ব আদায় করার জন্য কাকে বাংলার দেওয়ান হিসেবে পাঠিয়েছিলেন?

উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খানকে ।

(২) কত খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলিকে বাংলার নিজামপদ দেওয়া হয়?

উত্তরঃ ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে ।

(৩) কার নেতৃত্বে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বাংলার উত্থান ঘটেছিল?

উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খানের নেতৃত্বে। 

(৪) জাহাঙ্গীরনগর বলতে কোন স্থানকে বোঝানো হয়?

উত্তরঃ ঢাকা।

(৫) পলাশির যুদ্ধের পর কে বাংলার নবাব নির্বাচিত হন?

উত্তরঃ মিরজাফর।

(৬) কাটরা মসজিদ কোথায়?

উত্তরঃ মুর্শিদাবাদে।

(৭) কাটরা মসজিদ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খান।

(৮) বাংলায় কত খ্রিস্টাব্দে বর্গিহানা হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৭৪২-১৭৫১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ।

(৯) কে হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ মির কামারউদ্দিন খান সিদ্দিকি । 

(১০) বক্সারের যুদ্ধ কত খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে।

(১১) কত খ্রিস্টাব্দে ফাররুখশিয়র ফরমান জারি করেছিলেন? 

উত্তরঃ ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে।

(১২) কে আলিনগরের নামকরণ করেন? 

উত্তরঃ সিরাজ উদ-দৌলা ।

(১৩) 'অন্ধকূপ হত্যা' কোথায় হয়েছিল? 

উত্তরঃ কলকাতায় ।

(১৪) মিরজাফরের পর কে বাংলার নবাব হন? 

উত্তরঃ মির কাশিম ।

(১৫) বক্সারের যুদ্ধের পর কে কোম্পানিকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানির অধিকার দিতে বাধ্য হন?

উত্তরঃ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ।

(১৬) স্বত্ববিলোপ নীতির প্রবক্তা বা রূপকার কে ছিলেন? 

উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি ।

(১৭) অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কে প্রবর্তন করেন? 

উত্তরঃ লর্ড ওয়েলেসলি

(১৮) ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কত খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল? 

উত্তরঃ ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে।

(১৯) কলকাতায় বর্গিহানা আটকাবার জন্য যে খাল খোঁড়া হয়েছিল তাকে কী বলা হত?

উত্তরঃ মারাঠা খাল ।

 । ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :

(১) ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উত্থান হয়- (পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে/ বক্সারের যুদ্ধের মাধ্যমে/ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের মাধ্যমে)।

উত্তরঃ পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে।

(২) পারসিক ও আফগান আক্রমণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল- (কলকাতা শহর/ বোম্বাই শহর/ দিল্লি শহর) ।

উত্তরঃ দিল্লি শহর ।

(৩) দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম কোম্পানিকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি দেন (১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে/১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে/১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে)

উত্তরঃ ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে।

(৪) ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই নিজামের শাসনে স্বাধীন (বাংলা/বিহার/হায়দ্রাবাদ) রাজ্য আত্মপ্রকাশ করে ।

উত্তরঃ হায়দ্রাবাদ।

(৫) সাদৎ খানের নেতৃত্বে একটি স্বশাসিত আঞ্চলিক শক্তি হল- (দিল্লি/অযোধ্যা/উড়িষ্যা)।

উত্তরঃ অযোধ্যা ।

(৬) বাংলায় বর্গিহানা হয়েছিল- ( মুর্শিদকুলির সময়/আলিবর্দির সময়/সিরাজ উদ-দৌলার সময়)।

উত্তরঃ আলিবর্দির সময় ৷

(৭) কোম্পানি ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষার্থে বিভিন্ন রাজ্য দরবারে নিজেদের যে প্রতিনিধি রাখত তাকে বলা হত- (প্রেসিডেন্ট/ রেসিডেন্ট/ গভর্নর)।

উত্তরঃ রেসিডেন্ট ।

(৮) ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে টিপু সুলতানের মৃত্যু হয়- (দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে/ তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে/ চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে)।

উত্তরঃ চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে।

(৯) দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধে জেতার ফলে পাঞ্জাবও কোম্পানির অধিকারে চলে যায় । (প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ/ দ্বিতীয় ইঙ্গ শিখ যুদ্ধ)।

(১০) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশের ষাট ভাগেরও বেশি অঞ্চল কোম্পানির অধিকারে এসেছিল যার নেতৃত্বে তিনি হলেন- (লর্ড কর্নওয়ালিস/লর্ড ওয়েলেসলি/ লর্ড ডালহৌসি) ।

উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি।

 । ভুল অথবা ঠিক নির্বাচন করো :

(১) সিরাজ উদ-দৌলার পর বাংলার সিংহাসনে আরোহন করেন মির কাশিম ।

উত্তরঃ মিথ্যা

(২) ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধের পর থেকে ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক শাসন শুরু হয়।

উত্তরঃ মিথ্যা।

(৩) পলাশির যুদ্ধে ইংরেজদের সেনাপতি ছিলেন লর্ড ক্লাইভ।

উত্তরঃ সত্য।

(৪) বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন মিরজাফর।

উত্তরঃ মিথ্যা।

(৫) ১৭৫৭ থেকে ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার প্রধান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

উত্তরঃ সত্য।

(৬) মহীশুরের টিপু সুলতান প্রথম অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি মেনে নিয়েছিলেন ।

উত্তরঃ মিথ্যা। 

(৭) লাহোরের চুক্তি (১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দ) অনুযায়ী জলন্ধর দোয়াবে ব্রিটিশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়। 

উত্তরঃ সত্য।


অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।