ইজারাদারি ব্যবস্থা ও 'উইলিয়াম কেরি ও ব্যাপটিস্ট মিশন'
● টীকা লেখো : ইজারাদারি ব্যবস্থা।
উত্তরঃ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য জমি ইজারা দেওয়ার যে বন্দোবস্ত ব্যবস্থা চালু করেছিল তাকেই বলা হত 'ইজারাদারি ব্যবস্থা'। ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলায় ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত নিয়ে নানা পরীক্ষা করতে শুরু করেছিল। প্রথমে জমির নিলামে সবচেয়ে বেশি ডাক দেওয়া ব্যক্তিকে জমি দেওয়া হত। পরে প্রতি বছর বা এক বছর করে একজন ব্যক্তির সঙ্গে কোম্পানি ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত করে। ১৭৭২ খ্রিস্টাবদের জুন মাসে ওয়ারেন হেস্ট্রিংস নদীয়া জেলায় একটি নতুন ভূমি-রাজস্ব বন্দোবস্ত চালু করেন। সেই বন্দোবস্ত অনুযায়ী যে ব্যক্তি জমির নিলামে সবথেকে বেশি খাজনা দেওয়ার ডাক দেবে তার সঙ্গে কোম্পানি ওই জমির বন্দোবস্ত করবে। পাঁচ বছরের জন্য ওই জমি ওই ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হত বলে ওই বন্দোবস্তকে ইজারাদারি বন্দোবস্ত বলা হত । তবে অনেক ইজারাদারই গ্রাম সমাজের বাইরের লোক হওয়ায় ঠিকমতো রাজস্ব নির্ণয় করতে না পারার কারণে এবং দেয় রাজস্ব শোধ করতে না পারার জন্য পরে ইজারা বন্দোবস্ত তুলে দেওয়া হয়।
● টীকা লেখো : 'উইলিয়াম কেরি ও ব্যাপটিস্ট মিশন'।
উত্তরঃ শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে পড়াতেন। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের পাশাপাশি শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন স্থাপন করা হয়েছিল। শ্রীরামপুরের মিশনারিরা ব্রিটিশ কোম্পানির তরফে শিক্ষা বিস্তারের বিভিন্ন উদ্যোগে সামিল হন। নিজের মুদ্রণ যন্ত্র বসিয়ে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন লেখা ছাপতে শুরু করেন। শ্রীরামপুরের মিশনারিদের মধ্যে উইলিয়ম কেরিই ভারতীয় মহাকাব্যগুলি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। বাইবেলের একটি অংশকেও তিনি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে হালেদের লেখা বাংলা ব্যাকরণ বিষয়ক বিটিকেও সম্পাদনা করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেছিলেন।
অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ।
তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী
থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube
যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।
0 comments:
Post a Comment
If you have any question, Please let me know.