ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে ১৭৭৩ খ্রিস্টানদের রেগুলেটিং আইনের ভূমিকা কী ছিল? টীকা লেখো : 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন'।
প্রশ্নঃ ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে ১৭৭৩ খ্রিস্টানদের রেগুলেটিং আইনের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তরঃ ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রেকরণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং আইন পাস করে। ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া কাজকারবারের ওপর সরাসরি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণ বলবৎ করাই এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল ।
রেগুলেটিং আইন অনুসারে মাদ্রাজ, বোম্বাই এবং বাংলা প্রেসিডেন্সির তিনটির স্বতন্ত্র কার্যকলাপের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়। গভর্নর জেনারেল বলে একটি নতুন পথ তৈরি করা হয়। ঠিক হয় বাংলার গভর্নরই হবেন গভর্নর জেনারেল। তাঁর অধীনেই মাদ্রাজ ও বোম্বায়ের বাণিজ্যিক ঘাঁটিগুলির গভর্নরের থাকবেন । গভর্নর জেনারেলের পদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। চারজন সদস্য নিয়ে তৈরি হবে একটি গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিল। বস্তুত, এই আইনের ফলে কলকাতা ভারতের ব্রিটিশ শাসনের রাজধানীতে পরিণত হয়।
প্রশ্নঃ টীকা লেখো : 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন'।
উত্তরঃ পিট ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির কার্যকলাপের ওপর ব্রিটেনের পার্লামেনন্টের নজরদারি নিশ্চিত করার জন্য একটি আইন পাস করেন যাকে 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন' বলা হয় । ১৭৮৫ খ্রিস্টানদের ১ জানুয়ারি ওই আইন বলবৎ হয়।
পিট প্রণীত আইন মোতাবেক একটি বোর্ড অফ কন্ট্রোল তৈরি করা হয়। সেই বোর্ডকে কোম্পানির সামরিক ও অসামরিক শাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থা পরিচালনার পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই আইনে স্পষ্ট বলা হয় যে ভারতে কোম্পানির সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাই গভর্নর জেনারেলের কর্তৃত্ব মেনে চলতে বাধ্য থাকবে ৷
অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ।
তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী
থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube
যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।
0 comments:
Post a Comment
If you have any question, Please let me know.