WBB GUIDE NOTES

Grab Your Seat… Ensure Your Job…. For Details Contact

WBB GUIDE NOTES

Grab Your Seat… Ensure Your Job…. For Details Contact

WBB GUIDE NOTES

Online learning is rapidly becoming one of the most cost-effective ways to educate the world's rapidly expanding workforce.

WBB GUIDE NOTES

Education is the movement from darkness to light.

WBB GUIDE NOTES

Online learning can be a lifeline to those who have obstacles, such as geographical distances or physical disabilities.

WBB GUIDE NOTES

Learning together even when we are apart.

WBB GUIDE NOTES

ONLINE EDUCATION IS LIKE A RISING TIDE, IT'S GOING TO LIFT ALL BOATS.

Whatsaap

05 October 2023

কার্বোহাইড্রেট কাকে বলে? কার্বোহাইড্রেটের উৎস কী ? মনোস্যাকারাইড বা একশর্করা কাকে বলে? অলিগোস্যাকারাইড কাকে বলে?

 কার্বোহাইড্রেট কাকে বলে? কার্বোহাইড্রেটের উৎস কী ? মনোস্যাকারাইড বা একশর্করা কাকে বলে? অলিগোস্যাকারাইড কাকে বলে?


কার্বোহাইড্রেট কাকে বলে


১. কার্বোহাইড্রেট কাকে বলে?

উত্তরঃ কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনএই তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত যেসব জৈব যৌগে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন সাধারণত 2:1 অনুপাতে থাকে এবং যা থেকে দেহে তাপশক্তি উৎপন্ন হয় ও যা জীবদেহের প্রধান শ্বসনবস্তু হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাকে কার্বোহাইড্রেট বলে।

২. কার্বোহাইড্রেটের উৎস কী ?

উত্তরঃ কার্বোহাইড্রেটের প্রধান উৎস হল উদ্ভিজ্জ পদার্থ। যেমন- চাল, গম, ভুট্টা, আলু, বিট ইত্যাদি থেকে শ্বেতসার বা স্টার্চ আঙুর, আপেল, খেজুর, খেজুরের রস, তালের রস, আখের রস ইত্যাদি থেকে গ্লুকোজ; শাকসবজি, তরমুজ, বেল ইত্যাদি থেকে সেলুলোজ; আম, পাকা কলা, কমলালেবু ইত্যাদি থেকে ফ্রুক্টোজ, গুড়, চিনি, মিছরি ইত্যাদি থেকে ইক্ষু শর্করা বা সুক্রোজ পাওয়া যায়। কিছু কিছু কার্বোহাইড্রেট প্রাণীজ উৎস থেকেও পাওয়া যায়, যেমন পাঠার যকৃৎ ও পেশি থেকে পাওয়া যায় গ্লাইকোজেন।

৩. মনোস্যাকারাইড বা একশর্করা কাকে বলে?

উত্তরঃ একশর্করা বা মনোস্যাকারাইড হল সরলতম শর্করা। অর্থাৎ, এই জাতীয় শর্করাকে বিশ্লিষ্ট করলে কোনো শর্করাধর্মী যৌগ অবশিষ্ট থাকে না। এটি হল দুই বা ততোধিক হাইড্রক্সিল মূলকবিশিষ্ট অ্যালডিহাইড অথবা কিটোন-জাতীয় যৌগ। যেমনগ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্যালাকটোজ ইত্যাদি।

৪. অলিগোস্যাকারাইড কাকে বলে?

উত্তরঃ দুই থেকে নয়টি মনোস্যাকারাইড বা একশর্করার সমন্বয়ে গঠিত কার্বোহাইড্রেটকে অলিগোস্যাকারাইড বা স্বল্পর্শকরা বলে। যেমনল্যাকটোজ, মলটোজ, র‍্যাফিনোজ ইত্যাদি।


অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

22 August 2022

ফরাসি বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণগুলি আলোচনা করো

ফরাসি বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণগুলি আলোচনা করো

Class 9 history chapter 3 questions and answers west bengal board

 

প্রশ্নঃ ফরাসি বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণগুলি আলোচনা করো ।

উত্তরঃ ফরাসি বিপ্লব আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঐতিহাসিক কোবান ফরাসি বিপ্লবকে অসংখ্য ছোটো-বড়ো খরস্রোতা নদীর সমন্বয়ে ছড়িয়ে পড়া ভয়ানক বন্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

● ফরাসি বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণ :

বিভিন্ন অর্থনৈতিক কারণ ফরাসি বিপ্লবের জন্য বিশেষভাবে দায়ী ছিল । যেমন- 

(১) সরকারি অপব্যয় :

ফরাসি রাজপরিবার অকাতরে অর্থব্যয় করে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক শক্তিকে দুর্বল করে দেন। চতুর্দশ লুই, পঞ্চদশ লুই ও ষোড়শ লুই-এর আমলে সম্রাট সহ রাজপরিবারের অমিতব্যয়িতা ও বিলাসিতা চরমে পৌঁছোয়। ফলে ফরাসি রাজকোশ শূন্য হয়ে যায় । 

(২) ব্যয়বহুল যুদ্ধ :

চতুর্দশ ও পঞ্চদশ লুই বিভিন্ন ব্যয়বহুল যুদ্ধে অংশ নিয়ে বিপুল অর্থব্যয় করেন। ষোড়শ লুই আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিয়ে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন ৷ ফলে দেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়। 

(৩) অধিকারভোগীদের আয় :

ফ্রান্সের প্রায় অর্ধেক কৃষিজমিই ছিল যাজক ও অভিজাত সম্প্রদায়ের হাতে। জমি থেকে বিপুল আয় সত্ত্বেও তারা সরকারকে টাইলে বা ভূমিকর, ক্যাপিটেশন বা উৎপাদন কর, ভিটিংয়েমে বা আয়কর প্রভৃতি কর দিত না । তা সত্ত্বেও তারা রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধা ভোগ করত।

(৪) তৃতীয় শ্রেণির করের বোঝা :

রাষ্ট্র, গির্জা ও জমিদাররা তৃতীয় শ্রেগির কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের কর আদায় করত। টাইলে, ক্যাপিটেশন, ভিটিংয়েমে প্রভৃতি প্রত্যক্ষ কর ছাড়াও তারা সরকারকে গ্যাবেলা বা লবণকর, ভোগ্য পণ্যের ওপর কর, যাজকদের টাইদ বা ধর্মকর এইস বা মদ, তামাক প্রভৃতির ওপর কর, করভি বা প্রভুর জমিতে বেগার শ্রমদান, সামন্তপ্রভুদের পথঘাট ব্যবহার, শস্য ভাঙানো ও জমি হস্তান্তরের জন্য কর, অন্যান্য অতিরিক্ত কর প্রভৃতি দিতে বাধ্য হত। এত রকম কর মিটিয়ে কৃষকের হাতে উৎপন্ন ফসলের মাত্র ২০ শতাংশ অবশিষ্ট থাকত ।

(৫) মধ্যবিত্তদের দুরবস্থা :

অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ মনে করেন যে, বিপ্লবের আগে ফ্রান্স ছিল “ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর” ত্রুটিপূর্ণ অর্থনীতির জন্য দেশে দ্রব্যমূল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেলে দরিদ্র মানুষ সীমাহীন দুর্দশার মুখে পড়ে। খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য গরিব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যায় ৷ অন্যদিকে ধনী বুর্জোয়া, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরা স্বাধীন ও অবাধ বাণিজ্যের জন্য শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণ লোপের দাবি জানায়।

মূল্যায়ন :

ঐতিহাসিক মার্সেল রাইনার বলেছেন যে, “ফরাসি বিপ্লবের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পটভূমি বাদ দিয়ে এই বিপ্লবের প্রকৃত কারণ বোঝা যায় না।” ঐতিহাসিক মর্স স্টিফেন্স বিপ্লবের জন্য অর্থনৈতিক কারণের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন যে, “এই বিপ্লবের প্রধান কারণ ছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকুদার্শনিক ও সামাজিক নয়।”






অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

06 August 2022

ইউরোপে জাতীয়তাবাদী ধারণার বিকাশের পরিচয় দাও

ইউরোপে জাতীয়তাবাদী ধারণার বিকাশের পরিচয় দাও



প্রশ্নঃ ইউরোপে জাতীয়তাবাদী ধারণার বিকাশের পরিচয় দাও।

উত্তরঃ ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯ খ্রি.) আগে ইউরোপের মানুষ রাজতন্ত্রের প্রতি সীমাহীন আনুগত্য প্রকাশ করত। বিভিন্ন জাতিকে পদানত করে সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটানোই ছিল সে যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

● ইউরোপে জাতীয়তাবাদী ধারণার বিকাশ : বিপ্লবের পরবর্তীকালে ইউরোপে পরিস্থিতি পালটে যায় এবং রাজতন্ত্র বিরোধী জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে।

1. ফ্রান্সে জাতীয়তাবাদ : ফরাসি বিপ্লবের পরবর্তীকালে সাধারণ মানুষ স্বৈরাচারী রাজা ও রাজতন্ত্রের পরিবর্তে দেশ ও জাতির প্রতি আনুগত্য জানাতে শুরু করে। এভাবে তাদের মনে জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের জন্ম হয় । ফ্রান্সের ‘জাতীয় সভা' ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে ‘পিতৃভূমি বিপন্ন' বলে ঘোষণা করলে ফরাসিদের মধ্যে তীব্র জাতীয়তাবোধের প্রসার ঘটে। দেশে একই ধরনের আইনকানুন চালু হলে দেশবাসীর মধ্যে জাতীয়তাবোধ আরও তীব্র হয়।

2. ফ্রান্সের বাইরে জাতীয়তাবাদ : ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন তাঁর সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা বিপ্লবের ভাবধারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেন। ফলে ফরাসি জাতির জাতীয়তাবাদী চেতনা ইউরোপের অন্যান্য দেশেও প্রসারিত হয়। এর ফলে ফ্রান্সের বাইরে ইটালি, জার্মানি, পোল্যান্ড, পোর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, গ্রিস, বেলজিয়াম, বলকান প্রভৃতি অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিসংগ্রাম শুরু হয় ।

3. নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ : ফরাসি বিপ্লবের পরবর্তীকালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে ইউরোপের বিভিন্ন জাতিকে পদানত করে ফরাসি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু তাঁর রাজত্বের শেষদিকে ইউরোপের বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী ভাবধারা ছড়িয়ে পড়ে। প্রান্তে ফলে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে স্পেন, পোর্তুগাল, জার্মানি প্রভৃতি দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় ।






অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

01 August 2022

Class 9 life science chapter 1 question answer 2022

Class 9 life science chapter 1 question answer 2022




 ● সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান-2)

1. অ্যালগি বা শৈবাল কাকে বলে?

উত্তরঃ ক্লোরোফিলযুক্ত স্বভোজী, সমাঙ্গদেহী, ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির কোশযুক্ত, সরল (সুগঠিত কলাতন্ত্রবিহীন) মূলত জলজ উদ্ভিদগোষ্ঠী যাদের জীবনচক্রে ভ্রূণ গঠিত হয় না, তাদের অ্যালগি বা শৈবাল বলে। উদাহরণ – [1] ভাউকেরিয়া (Vaucheria sp.), [2] উলভা (Ulva sp.)।

2. টেরিডোফাইটা বা ফার্ন কাকে বলে?

উত্তরঃ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত, সংবহন কলাযুক্ত মূলত স্থলবাসী অপুষ্পক উদ্ভিদগোষ্ঠীকে টেরিডোফাইটা বলে। উদাহরণ –শুশনি (Marsilea), ইকুইসিটাম (Equisetum)।

3. ব্রায়োফাইটা বা মস কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রকৃত মূল, কাণ্ড, পাতা ও সংবহন কলাবিহীন যে অপুষ্পক উদ্ভিদগোষ্ঠীর জীবনচক্রে প্রধান উদ্ভিদ দেহটি লিঙ্গধর এবং ফ্ল্যাজেলাযুক্ত শুক্রাণু জলের মাধ্যমে বাহিত হয়ে নিষেক সম্পন্ন করে, তাকে ব্রায়োফাইটা বলে। উদাহরণ—ফিউনেরিয়া (Funaria), স্ফ্যাগনাম (Sphagnum)।

4. জিমনোস্পার্ম বা ব্যক্তবীজী বা নগ্নবীজী কাকে বলে?

উত্তরঃ গর্ভাশয় তথা ফলবিহীন কিন্তু অনাবৃত (নগ্ন) বীজযুক্ত উদ্ভিদকে জিমনোস্পার্ম (Gymnos = naked, নগ্ন) বা নগ্নবীজী বা ব্যক্তবীজী বলে। উদাহরণ — পাইনাস রক্মবার্গি (Pinus roxburghii), সাইকাস পেকটিনাটা (Cycas pectinata)।

5. অ্যানজিওস্পার্ম বা গুপ্তবীজী বা আবৃতবীজী কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব সপুষ্পক উদ্ভিদের ফুল থেকে ফল ও বীজ উৎপন্ন হয়, এবং ফলের মধ্যে বীজগুলি লুকোনো থাকে, তাদের অ্যানজিওস্পার্ম বা গুপ্তবীজী বা আবৃতবীজী বলে। উদাহরণ— নারকেল: কোকোস নুসিফেরা (Cocos nucifera), মটর: পিসাম স্যাটিভাম (Pisum sativum)।

6. মনোকটিলেডোনাস বা মনোকট বা একবীজপত্রী উদ্ভিদ কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব গুপ্তবীজী উদ্ভিদের বীজে একটিমাত্র বীজপত্র থাকে, তাদের মনোকটিলেডোনাস বা মনোকট বা একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। উদাহরণ—কলা: মুসা প্যারাডিসিয়াকা (Musa paradisiaca), পেঁয়াজ: অ্যালিয়াম সেপা (Allium cepa)।

7. ডাইকটিলেডোনাস বা ডাইকট বা দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব গুপ্তবীজী উদ্ভিদের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে, তাদের দ্বিবীজপত্রী বা ডাইকটিলেডোনাস বা ডাইকট উদ্ভিদ বলে। উদাহরণ—আপেল: ম্যালাস ডোমেস্টিকা (Malus domestica), আতা: অ্যানোনা স্কোয়ামোসা (Annona squamosa), জবা হিবিসকাস রোজা সাইনেনসিস (Hibiscus rosa-sinensis)।

8. সমাঙ্গদেহী কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব অপুষ্পক উদ্ভিদের দেহ থ্যালাসের মতো, অর্থাৎ দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত নয়, তাদের সমাঙ্গদেহী বা থ্যালোফাইটা বলে। যেমন—শৈবাল।

9. রাইজয়েড কী?

উত্তরঃ ব্রায়োফাইটা-জাতীয় উদ্ভিদের দেহে মূল বা শিকড় উৎপন্ন হয় না, বরং মূলের পরিবর্তে উদ্ভিদদেহের অঙ্কীয়দেশ থেকে এক ধরনের সুতোর মতো অঙ্গ গুচ্ছাকারে জন্মায়। এদের রাইজয়েড বলে। এরা মূলের মতো উদ্ভিদটিকে মাটির সঙ্গে শক্তভাবে আটকে রাখতে এবং মাটি থেকে জল, খনিজ লবণ শোষণে সাহায্য করে।

10. কলিড ও ফাইলিড কী?

উত্তরঃ 

কলিড: মস বর্গ বা ব্রায়োফাইটার কাণ্ড উন্নত উদ্ভিদের মতো নয়। এর কাণ্ডসদৃশ অঙ্গকে কলিড বলে।

ফাইলিড: মস বর্গ বা ব্রায়োফাইটার পাতা উন্নত উদ্ভিদের মতো নয়, এর পাতাসদৃশ অঙ্গকে ফাইলিড বলে।

11. গ্যামেটোফোর কাকে বলে? মস ও ফার্নের জননাঙ্গের নাম লেখো।

উত্তরঃ মস ও ফার্ন-জাতীয় উদ্ভিদের যে অংশ উদ্ভিদগুলির জননাঙ্গকে ধারণ করে, তাকে গ্যামেটোফোর বলে।

 ● মস ও ফার্নের স্ত্রী জননাঙ্গ হল আর্কিগোনিয়া এবং পুং জননাঙ্গ হল অ্যান্থেরিডিয়া।

12. সারসিনেট ভারনেশান কী?

উত্তরঃ ফার্নজাতীয় উদ্ভিদের অপরিণত পাতাগুলি কুকুরের লেজের মতো কুণ্ডলী পাকিয়ে যে বিশেষ গঠন সৃষ্টি করে, তাকে সারসিনেট ভারনেশান বলে। ড্রায়োপ্টেরিস (Dryopteris) নামক ফার্নে এটি দেখা যায়।

13. সোরাস কী?

উত্তরঃ ড্রায়োপ্টেরিস (Dryopteris) উদ্ভিদের পরিণত পাতার নীচের দিকে ছোটো ছোটো বাদামি রঙের বৃক্কাকৃতি যে অংশের ভিতরে রেণুস্থলি থাকে, তাকে সোরাস বলে।

14. রেণুধর ও লিঙ্গধর দশা কাকে বলে?

উত্তরঃ 

রেণুধর দশা: উদ্ভিদের জীবনচক্রের যে দশায় রেণু বা স্পোর উৎপন্ন হয়, তাকে রেণুধর দশা বা স্পোরোফাইট বলে।

লিঙ্গধর দশা: উদ্ভিদের জীবনচক্রের যে দশায় পুং বা স্ত্রী গ্যামেট (শুক্রাণু বা ডিম্বাণু) উৎপন্ন হয়, তাকে লিঙ্গধর দশা বা গ্যামেটোফাইট বলে।

15. ব্রায়োফাইটা সর্বত্র জন্মাতে পারে কেন?

উত্তরঃ [1] ব্রায়োফাইটার নির্দিষ্ট মূল বা মূলতন্ত্র না থাকায় এরা যে-কোনো আর্দ্র বা ভেজা স্থানে জন্মাতে পারে। [2] এ ছাড়া, এরা আর্দ্র পরিবেশ (বায়ুমণ্ডল বা মাটি) থেকে সরাসরি জল শোষণ করতে পারে। [3] এদের চলনশীল শুক্রাণু জলের মাধ্যমে বাহিত হয়ে স্ত্রীধানীতে পৌঁছোয়। ব্রায়োফাইটাকে সেইজন্য উভচর উদ্ভিদ বলে। এরা সর্বত্রই জন্মাতে পারে।

16. একবীজপত্রী উদ্ভিদ ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মিল কী কী?

উত্তরঃ একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের সাদৃশ্যগুলি হল— [1] উভয়েই সপুষ্পক উদ্ভিদ। [2] উভয়েরই যৌনজনন ও নিষেক ঘটে। [3] উভয়েরই বীজে বীজপত্র থাকে। [4] উভয়েরই জাইলেম ও ফ্লোয়েম নামক সংবহন কলা থাকে।







অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

Class 9 life science chapter 1 short question answer-Class 9 life science chapter 1 question answer

 Class 9 life science chapter 1 short question answer




MCQ

1. সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদের দেহকে বলে-

উত্তরঃ থ্যালাস ।

2. ক্লোরোফিল-যুক্ত, অপুষ্পক, স্বভোজী উদ্ভিদটি হল-

উত্তরঃ ফার্ন।

3. যে সকল ব্রায়োফাইট-দের দেহ থ্যালাস প্রকৃতির তাদের বলে—

উত্তরঃ লিভারওয়ার্ট।

4. 'ফাইলিড' বলতে বোঝায়-

উত্তরঃ পাতার মতো অংশ।

5. একটি একবীজপত্রী উদ্ভিদ হল-

উত্তরঃ ভুট্টা।

6. উন্নত শ্রেণির অপুষ্পক উদ্ভিদ হল-

উত্তরঃ ফার্ন।

7. কোশে সম্ভিত খাদ্য হিসেবে গ্লাইকোজেন থাকে-

উত্তরঃ ফাংগির।

8. লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) হল একপ্রকার-

উত্তরঃ টেরিডোফাইটা।

9. দুটি ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের উদাহরণ হল-

উত্তরঃ পাইনাস ও সাইকাস।

10. একটি মাত্র বীজপত্র থাকে—

উত্তরঃ নারকেল।

11. প্রথম বীজের আবির্ভাব ঘটে যে উদ্ভিদগোষ্ঠী থেকে, তা হল-

উত্তরঃ ব্যক্তবীজী।

12. নীচের কোনটির সংবহন কলাতন্ত্র আছে, রেণু উৎপন্ন হলেও বীজ উৎপন্ন হয় না?

উত্তরঃ টেরিডোফাইটা।

13. লিঙ্গধর দশা ও রেণুধর দশা স্বাধীনভাবে থাকে-

উত্তরঃ ফার্নজাতীয় উদ্ভিদে।

14. যার জীবনচক্রে লিঙ্গধর দশা প্রধান সেটি হল-

উত্তরঃ ব্রায়োফাইটা।


● অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1)

1. সমাগদেহী উদ্ভিদ কাকে বলে? 

উত্তরঃ যেসব উদ্ভিদের দেহ মূল, কাণ্ড, পাতায় বিভক্ত নয়, তাদের সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদ বলে। যেমন—শৈবাল।

2. সর্পিলাকার ক্লোরোপ্লাস্ট কোন্ উদ্ভিদে দেখা যায়?

উত্তরঃ স্পাইরোগাইরা (Spirogyra) নামক উদ্ভিদে সর্পিলাকার ক্লোরোপ্লাস্ট দেখা যায়।

3. কোন্ প্রকার উদ্ভিদ দলবদ্ধভাবে মাটির ওপর ভেলভেটের মতো সবুজ আস্তরণ তৈরি করে?

উত্তরঃ মসজাতীয় উদ্ভিদ দলবদ্ধভাবে মাটির ওপর ভেলভেটের মতো সবুজ আস্তরণ তৈরি করে।

4. কোন্ উদ্ভিদ দেখতে পিরামিডের মতো?

উত্তরঃ পাইনাস (Pinus) নামক উদ্ভিদ দেখতে পিরামিডের মতো।

5. কোন্ অপুষ্পক উদ্ভিদের দেহে মূল, কাণ্ড এবং পাতা থাকে?

উত্তরঃ টেরিডোফাইটা-জাতীয় অপুষ্পক উদ্ভিদের দেহে মূল, কাণ্ড এবং পাতা থাকে।

6. যেসব উদ্ভিদের বীজ নগ্ন থাকে, তাদের কী বলে?

উত্তরঃ যেসব উদ্ভিদের বীজ নগ্ন থাকে, তাদের ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ বলে।

7. ফার্নের প্রধান উদ্ভিদদেহটি কী প্রকৃতির?

উত্তরঃ ফার্নের প্রধান উদ্ভিদদেহটি রেণুধর প্রকৃতির।

8. মসের পত্রবৎ অংশটিকে কী বলা হয়?

উত্তরঃ মসের পত্রবৎ অংশটিকে ফাইলিড বলা হয়।

9. রাইজয়েডের প্রধান কাজ কী?

উত্তরঃ রাইজয়েডের প্রধান কাজ জল ও পুষ্টি উপাদান শোষণ করা।

10. ড্রায়োপ্টেরিস-এর কোথায় সোরাস থাকে?

উত্তরঃ ড্রায়োপ্টেরিস-এর রেণুপত্রের অঙ্কপৃষ্ঠে সোরাস থাকে।

11. একটি ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের নাম লেখো।

উত্তরঃ একটি ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের নাম হল পাইনাস রক্সবার্গি (Pinus roxburghii)।

12. কোন্ সপুষ্পক উদ্ভিদে বীজ হয় কিন্তু ফল হয় না?

উত্তরঃ ব্যক্তবীজী উদ্ভিদে [যেমন— সাইকাস (Cycas), পাইনাস (Pinus) ইত্যাদি] ফুল ও বীজ হয়, কিন্তু ফল হয় না।

13. কোন্ উদ্ভিদে মূলের পরিবর্তে রাইজয়েড থাকে?

উত্তরঃ ব্রায়োফাইটাতে [যেমন—রিক্সিয়া (Riccia), পোগোনেটাম (Pogonatum) প্রভৃতি] মূলের পরিবর্তে রাইজয়েড থাকে।

14. ব্রায়োফাইটার প্রধান উদ্ভিদদেহটি কী?

উত্তরঃ ব্রায়োফাইটার প্রধান উদ্ভিদদেহটি হল লিঙ্গধর।

15. ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের ফুল সর্বদাই কী প্রকারের হয়?

উত্তরঃ ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের ফুল সর্বদাই একলিঙ্গ প্রকৃতির হয়।

16. কোন্ উদ্ভিদ গোষ্ঠীকে উদ্ভিদরাজ্যের উভচর বলা হয় ?

উত্তরঃ ব্রায়োফাইটা গোষ্ঠীকে উদ্ভিদ রাজ্যের উভচর বলা হয়।

17. অপুষ্পক উদ্ভিদজগতে কোন্ উদ্ভিদগুলি উন্নত ?

উত্তরঃ অপুষ্পক উদ্ভিদ জগতে ফার্নর্জাতীয় উদ্ভিদগুলি উন্নত।

18. কোন্ জাতীয় উদ্ভিদে প্রধান মূল দেখা যায়?

উত্তরঃ দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদে প্রধান মূল দেখা যায়।

19. বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখো। (ধান, আম, গম, ভুট্টা)

উত্তরঃ আম।

20. লাইকেনের থ্যালাস গঠনকারী শৈবাল উপাদানটিকে কী বলে?

উত্তরঃ লাইকেনের থ্যালাস গঠনকারী শৈবাল উপাদানটিকে ফাইকোবায়ন্ট বলে।

21. লাইকেনের থ্যালাস গঠনকারী ছত্রাক উপাদানটিকে কী বলে?

উত্তরঃ লাইকেনের থ্যালাস গঠনকারী ছত্রাক উপাদানটিকে মহিকোবায়ন্ট বলে।

22. ব্যক্তবীজী উদ্ভিদে সস্য কখন গঠিত হয়?

উত্তরঃ ব্যক্তবীজী উদ্ভিদে সস্য নিষেকের পূর্বে গঠিত হয়।

23. প্রোটোনিমা কী?

উত্তরঃ মস-জাতীয় উদ্ভিদের ক্ষেত্রে নবীন অবস্থায় সূত্রবৎ লিঙ্গধর উদ্ভিদকে প্রোটোনিমা বলে।

24. এককোশী সচল প্রকৃতির শৈবালের নাম লেখো। 

উত্তরঃএককোশী সচল প্রকৃতির শৈবাল হল ক্ল্যামাইডোমোনাস (Chlamydomonas) ।

25. একটি এককোশী নিশ্চল প্রকৃতির শৈবালের নাম কী?

উত্তরঃ একটি এককোশী নিশ্চল প্রকৃতির শৈবাল হল ক্লোরেল্লা (Chlorella)।

26. কলোনি বা উপনিবেশ গঠনকারী একটি শৈবালের নাম লেখো।

উত্তরঃ কলোনি বা উপনিবেশ গঠনকারী একটি শৈবালের নাম ভলভক্স (Volvox)।

27. একটি আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত শৈবালের নাম লেখো। 

উত্তরঃ একটি আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত শৈবাল হল নস্টক (Nostoc)।








অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

20 July 2022

মনোকটিলেডোনাস বা মনোকট বা একবীজপত্রী উদ্ভিদের মুখ্য বৈশিষ্ট্য লেখো। দুটি উদাহরণ দাও। ডাইকটিলেডোনাস বা ডাইকট বা দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মুখ্য বৈশিষ্ট্য লেখো। দুটি উদাহরণ দাও।

মনোকটিলেডোনাস বা মনোকট বা একবীজপত্রী উদ্ভিদের মুখ্য বৈশিষ্ট্য লেখো। দুটি উদাহরণ দাও। ডাইকটিলেডোনাস বা ডাইকট বা দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মুখ্য বৈশিষ্ট্য লেখো। দুটি উদাহরণ দাও।



প্রশ্নঃ মনোকটিলেডোনাস বা মনোকট বা একবীজপত্রী উদ্ভিদের মুখ্য বৈশিষ্ট্য লেখো। দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ

■ মনোকটিলেডোনাস বা মনোকট বা একবীজপত্রী উদ্ভিদের মুখ্য বৈশিষ্ট্য:

[1] প্রধানত বীরুৎজাতীয় উদ্ভিদ। বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদের সংখ্যা খুব কম। [2] জীবনকালের স্থায়িত্ব অনুযায়ী এরা একবর্ষজীবী বা বহুবর্ষজীবী হয়। [3] এদের বীজে একটিমাত্র বীজপত্র থাকে। [4] এদের ফলত্বক ও বীজত্বক পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় থাকে। [5] এদের দেহে অস্থানিক প্রকৃতির গুচ্ছমূল দেখা যায়। [6] কাণ্ড সাধারণত শাখাহীন এবং পাতা সমাঙ্কপৃষ্ঠ এবং পাতায় সমান্তরাল শিরাবিন্যাস থাকে।

উদাহরণ:

[A] গম: ট্রিটিকাম এস্টিভাম (Triticum aestivum) 

[B] খান : ওরাইজা স্যাটিভা (Oryza sativa)।

প্রশ্নঃ ডাইকটিলেডোনাস বা ডাইকট বা দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মুখ্য বৈশিষ্ট্য লেখো। দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ

■ ডাইকটিলেডোনাস বা ডাইকট বা দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মুখ্য বৈশিষ্ট্য:

[1] প্রধানত বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ। বীরুৎ ও গৃষ্মের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম। [2] জীবনকালের স্থায়িত্ব অনুযায়ী, এরা একবর্ষজীবী, দ্বিবর্ষজীবী বা বহুবর্ষজীবী হয়। [3] এদের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে। এদের ফলত্বক ও বীজত্বক পরস্পরের থেকে পৃথক থাকে। [4] কাণ্ড শাখাপ্রশাখাযুক্ত এবং প্রধান মূলতন্ত্র বর্তমান। [5] পাতা বিষমপৃষ্ঠ এবং পাতায় জালকাকার শিরাবিন্যাস থাকে। [6] বীজের অঙ্কুরোদ্গম মৃদভেদী প্রকৃতির।

উদাহরণ: 

[A] আম গাছ : ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা (Mangifera indica), 

[B] মটর গাছ : পিসাম স্যাটিভাম (Pisum sativum)।






অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

10 July 2022

নেপোলিয়নের উত্থান ও ক্ষমতালাভ সম্পর্কে আলোচনা করো।

নেপোলিয়নের উত্থান ও ক্ষমতালাভ সম্পর্কে আলোচনা করো। 



প্রশ্নঃ নেপোলিয়নের উত্থান ও ক্ষমতালাভ সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তরঃ আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ছিলেন এক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনায়ক যিনি এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও নিজ প্রতিভার গুণে ফ্রান্সের শাসনক্ষমতা দখল করেন।

■ নেপোলিয়নের উত্থান ও ক্ষমতালাভ:

1. উত্থান: নেপোলিয়ন মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফরাসি গোলন্দাজ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে নিযুক্ত হন। এসময়–[i] ইংরেজ বাহিনীর অবরোধ থেকে ফ্রান্সের তুলো বন্দর মুক্ত (১৭৯৩ খ্রি.) করে সামরিক সাফল্য দেখিয়ে তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের পদে উন্নীত হন। [ii] তিনি উন্মত্ত জনতার আক্রমণ থেকে ফরাসি জাতীয় সভাকে রক্ষা (১৭৯৫ খ্রি.) করেন এবং ফলস্বরূপ মেজর জেনারেল পদ লাভ করেন।

2. সামরিক সাফল্য : ডাইরেক্টরির শাসনকালে (১৭৯৫ '৯৯ খ্রি.) নেপোলিয়ন — [i] ইটালির সার্ডিনিয়া, পার্মা, মডেনা ও নেপসকে পরাজিত করেন। [ii] অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করে মিলান দখল করেন এবং পরে অস্ট্রিয়াকে ক্যাম্পো-ফমিও-এর সন্ধি (১৭৯৭ খ্রি.) স্বাক্ষরে বাধ্য করেন। [iii] পোপের রাজ্য আক্রমণ করে পোপকে টলেন্টিনা-এর সন্ধি (১৭৯৭ খ্রি.) স্বাক্ষরে বাধ্য করেন। [iv] ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পিরামিডের যুদ্ধে (১৭৯৮ খ্রি.) জয় লাভ করলেও নীলনদের যুদ্ধে (১৭৯৮ খ্রি.) পরাজিত হন।

3. ক্ষমতা দখল: ডাইরেক্টরির শাসনকালে শাসনব্যবস্থায় চরম বিশৃঙ্খলার সুযোগে নেপোলিয়ন সেনাবাহিনীর সহায়তায় ডাইরেক্টরির শাসকদের পদচ্যুত করে (১৭৯৯ খ্রি.) ফ্রান্সে 'কনসুলেটের' শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রথমে ১০ বছরের জন্য এবং পরে সংবিধান সংশোধন করে ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে আজীবন কনসাল পদ লাভ করেন। ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে 'সম্রাট' উপাধি গ্রহণের মাধ্যমে নেপোলিয়ন ফ্রান্সে বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন।





অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

07 July 2022

টীকা লেখো ইজারাদারি ব্যবস্থা ও 'উইলিয়াম কেরি ও ব্যাপটিস্ট মিশন'

ইজারাদারি ব্যবস্থা  'উইলিয়াম কেরি ও ব্যাপটিস্ট মিশন'



 ● টীকা লেখো : ইজারাদারি ব্যবস্থা।

উত্তরঃ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য জমি ইজারা দেওয়ার যে বন্দোবস্ত ব্যবস্থা চালু করেছিল তাকেই বলা হত 'ইজারাদারি ব্যবস্থা'। ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলায় ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত নিয়ে নানা পরীক্ষা করতে শুরু করেছিল। প্রথমে জমির নিলামে সবচেয়ে বেশি ডাক দেওয়া ব্যক্তিকে জমি দেওয়া হত। পরে প্রতি বছর বা এক বছর করে একজন ব্যক্তির সঙ্গে কোম্পানি ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত করে। ১৭৭২ খ্রিস্টাবদের জুন মাসে ওয়ারেন হেস্ট্রিংস নদীয়া জেলায় একটি নতুন ভূমি-রাজস্ব বন্দোবস্ত চালু করেন। সেই বন্দোবস্ত অনুযায়ী যে ব্যক্তি জমির নিলামে সবথেকে বেশি খাজনা দেওয়ার ডাক দেবে তার সঙ্গে কোম্পানি ওই জমির বন্দোবস্ত করবে। পাঁচ বছরের জন্য ওই জমি ওই ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হত বলে ওই বন্দোবস্তকে ইজারাদারি বন্দোবস্ত বলা হত । তবে অনেক ইজারাদারই গ্রাম সমাজের বাইরের লোক হওয়ায় ঠিকমতো রাজস্ব নির্ণয় করতে না পারার কারণে এবং দেয় রাজস্ব শোধ করতে না পারার জন্য পরে ইজারা বন্দোবস্ত তুলে দেওয়া হয়।

● টীকা লেখো : 'উইলিয়াম কেরি ও ব্যাপটিস্ট মিশন'।

উত্তরঃ শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে পড়াতেন। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের পাশাপাশি শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন স্থাপন করা হয়েছিল। শ্রীরামপুরের মিশনারিরা ব্রিটিশ কোম্পানির তরফে শিক্ষা বিস্তারের বিভিন্ন উদ্যোগে সামিল হন। নিজের মুদ্রণ যন্ত্র বসিয়ে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন লেখা ছাপতে শুরু করেন। শ্রীরামপুরের মিশনারিদের মধ্যে উইলিয়ম কেরিই ভারতীয় মহাকাব্যগুলি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। বাইবেলের একটি অংশকেও তিনি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে হালেদের লেখা বাংলা ব্যাকরণ বিষয়ক বিটিকেও সম্পাদনা করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেছিলেন।





অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া। স্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া। স্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।


প্রশ্নঃ ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া। স্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

উত্তরঃ ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির স্বার্থরক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চার বিষয় আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমেই ওয়ারেন হেস্টিংসের নাম উল্লেখ করতে হয়। তিনি এ বিষয়ে এক বিশেষ ধরনের শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

ফারসি ও অন্যান্য ভাষা জানা ভারতীয়দের তিনি রাজস্ব দপ্তরের কাজে নিয়োগ করেছিলেন। কোম্পানির কর্মচারীদের সুবিধার জন্য হিন্দু ও মুসলিম আইনগুলিকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন হেস্ট্রিংস । অন্যদিকে কোম্পানির বিভিন্ন নিয়মনীতিগুলোকেও বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল। ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে আরবি ও ফারসি ভাষাচর্চার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে জোনাথন ডানকান হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উভয়েরই মূল উদ্দেশ্য ছিল ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিত ব্যক্তিরা উপনিবেশিক শাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে সুগঠিত করার কাজে সহায়তা করবেন। ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উইলিয়ম জোনস। তাঁর উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য ছিল সংস্কৃত ভাষায় লেখা প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যগুলি আধুনিক ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করা। তাঁর মতে এই চর্চার ফলে ভারতের শিক্ষিত মানুষদের সঙ্গে ব্রিটিশদের বোঝাপড়া অনেক সুষম হবে এবং ঔপনিবেশিক পবশাসন আরও সুগম হয়ে উঠবে। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্থাপন করা হয়। ওই মিশনের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছিলেন উইলিয়ম কেরি । তিনি ভারতীয় মহাকাব্যগুলি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। তা ছাড়া বাইবেলের একটি অংশ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করেন।

১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে আলেকজান্ডার ডাফ কলকাতায় অনেকগুলি মিশনারি স্কুল তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন যার মধ্যে বিখ্যাত ছিল জেনারেল অ্যাসেম্বলি ইনস্টিটিউশন।

১৮২১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয় যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সংস্কৃত সাহিত্যের চর্চার পাশাপাশি পাশ্চাত্য জ্ঞানের বিকাশ ঘটানো।

১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ইংরেজি ভাষা নির্ভর পাশ্চাত্য শিক্ষার দ্রুত বিস্তার ঘটতে থাকে। ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে একটি প্রতিবেদনে সরাসরি বলা হয় যে, ইংরেজি শিক্ষার বিস্তারে প্রশাসন বেশি জোর দেবে। ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে সরকারি চাকুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষাজ্ঞানকে আবশ্যক বলে ঘোষণা করা হয়। ইংরেজি ভাষাকেন্দ্রিক শিক্ষাচর্চা- নীতির পিছনে লর্ড মেকলের শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেদনে মেকলে বলেন ভারতে ইংরেজি-শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী তৈরি করাই ঔপনিবেশিক প্রশাসনের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। উডের প্রতিবেদনও সরকারকে প্রাথমিক থেকে বিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত একটি সুগঠিত শিক্ষা কাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়- শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ও ভারতীয় দু-ধরনের ভাষা চর্চার কথা বলা হয়েছে।

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে একথাই প্রতিপন্ন হয় যে ঔপনিবেশিক প্রশাসনের তরফে গৃহীত শিক্ষাবিস্তার নীতির মূল উদ্দেশ্যই ছিল সমাজে কিছু সংখ্যক মানুষকে শিক্ষিত করে তোলা, বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করে ঔপনিবেশিক প্রশাসনিক কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত করে নেওয়া।





অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।

03 July 2022

ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে ১৭৭৩ খ্রিস্টানদের রেগুলেটিং আইনের ভূমিকা কী ছিল? টীকা লেখো : 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন'।

ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে ১৭৭৩ খ্রিস্টানদের রেগুলেটিং আইনের ভূমিকা কী ছিল? টীকা লেখো : 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন'।

What was the purpose of the centralization of the Indian administration and what was the role of the regulating law of 183 Christians in controlling the activities of the company in India? 'Pitt's Government of India Act'.

wbb_guide_notes


প্রশ্নঃ ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে ১৭৭৩ খ্রিস্টানদের রেগুলেটিং আইনের ভূমিকা কী ছিল?

উত্তরঃ ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রেকরণের উদ্দেশ্য এবং ভারতে কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং আইন পাস করে। ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া কাজকারবারের ওপর সরাসরি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণ বলবৎ করাই এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল ।

রেগুলেটিং আইন অনুসারে মাদ্রাজ, বোম্বাই এবং বাংলা প্রেসিডেন্সির তিনটির স্বতন্ত্র কার্যকলাপের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়। গভর্নর জেনারেল বলে একটি নতুন পথ তৈরি করা হয়। ঠিক হয় বাংলার গভর্নরই হবেন গভর্নর জেনারেল। তাঁর অধীনেই মাদ্রাজ ও বোম্বায়ের বাণিজ্যিক ঘাঁটিগুলির গভর্নরের থাকবেন । গভর্নর জেনারেলের পদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। চারজন সদস্য নিয়ে তৈরি হবে একটি গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিল। বস্তুত, এই আইনের ফলে কলকাতা ভারতের ব্রিটিশ শাসনের রাজধানীতে পরিণত হয়।

প্রশ্নঃ টীকা লেখো : 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন'।

উত্তরঃ পিট ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির কার্যকলাপের ওপর ব্রিটেনের পার্লামেনন্টের নজরদারি নিশ্চিত করার জন্য একটি আইন পাস করেন যাকে 'পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন' বলা হয় । ১৭৮৫ খ্রিস্টানদের ১ জানুয়ারি ওই আইন বলবৎ হয়।

পিট প্রণীত আইন মোতাবেক একটি বোর্ড অফ কন্ট্রোল তৈরি করা হয়। সেই বোর্ডকে কোম্পানির সামরিক ও অসামরিক শাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থা পরিচালনার পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই আইনে স্পষ্ট বলা হয় যে ভারতে কোম্পানির সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাই গভর্নর জেনারেলের কর্তৃত্ব মেনে চলতে বাধ্য থাকবে ৷






অবশেষে, আমরা আশা করছি যে তোমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছ। তোমরা আমাদের Youtube Channel-এ Visit করতে পারো, সেখানে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল প্রশ্নের উত্তর PDF সহ দিয়ে থাকি।
Visit 👉 YouTube

যদি কারো সঠিক উত্তর পেতে কোনো রকমের অসুবিধা হয় সে আমাদের কমেন্ট করে জানাও।